Governor CV Ananda Bose: এবার অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের চেয়ারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি!
রজ্যের সঙ্গে ফের সংঘাতের পথে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গড়লেন শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি। `এক্তিয়ার বর্হিভূত, সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন`, বললেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: সরকারের সঙ্গে ফের সংঘাতে রাজ্যপাল! কীভাবে? রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে এবার অরসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিলেন সিভি আনন্দ বোস। তৈরি করলেন শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটিও।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ছোট অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা! উডবার্নে ভর্তি হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী
পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য রাজ্যপালই। তবে একক সিদ্ধান্তে নয়, রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনেই উপাচার্যদের নিয়োগ করেন তিনি। কিন্তু উল্টো পথে হাঁটছেন সিভি আনন্দ বোস। কেন? রাজ্যেপালের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল।
সম্প্রতি রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অবশ্য নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি। বাকি ১০ জন উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে। আদালত রায় দিয়েছে, রাজ্যপাল যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছিলেন তা বৈধ। এবার অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের চেয়ারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি!
এদিন রাজভবনের শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে হাজির ছিলেন কর্নাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। তাঁকে একটি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের দায়িত্ব নেওয়া সুপারিশ করেন রাজ্যপালকে নিজেই। পরে জানা যায়, রবীন্দ্রভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি। সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতি কমিটির চেয়ারম্যানও।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন,'এক্তিয়ার বর্হিভূত, সংবিধান বহির্ভূত কাজ তিনি করেছেন। রাজ্যে একটা নির্বাচিত সরকার আছে। অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষা দফতর আছে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে, প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে আলোচনা না করে, যেভাবে একতরফাভাবে এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়'। তাঁর অভিযোগ, 'রাজ্য়পাল সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছে, বিজেপির দলদাসে পরিণত হয়ে। জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন'।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, 'রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য় বন্ধ করে, একটা নিজস্ব ছন্দে ফেরানোর। সামগ্রিকভাবে যে পরিস্থিতি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি থেকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে, সমস্ত মানুষের অংশগ্রহণে যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল, এ রাজ্য়ে যে সরকার আছে, যে দল তারা তো রাজ্যপালের অস্তিত্বকে মানে না'।
আরও পড়ুন: ফিরে এসো চাকা? বাংলার শেষ কাঠের বাস, ১০০ বছরের পুরনো বাসরুট...