নিজস্ব প্রতিবেদন : সামগ্রিকভাবে তথ্য না দেওয়ায়  চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইট করে ধনখড় বলেছেন, “রাজনৈতি হিংসা, শিল্প সম্মেলনে দুর্নীতি, রেশন ব্যবস্থা, আমফানের ত্রাণে অনিয়ম-সহ নানা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে রিপোর্ট চাওয়া রাজ্যপালের অধিকার ও কর্তব্য। কিন্তু সেই তথ্য পাওয়া যায় না।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখন প্রশ্ন উঠছে আদতে এই অভিযোগ কতটা সত্যি? যাঁরা নিয়মিত RTI করেন, তাঁদের অভিযোগ আরও গুরুতর। অভিযোগকারী বিশ্বনাথ গোস্বামী জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে  লকডাউনের পর থেকেই বন্ধ কমিশন। অথচ কী কারণে বন্ধ একবারও জানানো হয়নি। এদিকে অন্য রাজ্যের কমিশনগুলি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যেটা দুর্নীতি ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ, পরিকল্পিত। সবোর্চ্চ মহলের নির্দেশ অনুযায়ী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহু মামলা, সরকারি সম্পত্তি বিক্রি, সব ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ব্যয় ও অডিট রিপোর্ট  ইত্যাদি বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুনানির বহু তারিখ পড়লেও প্রত্যেকবার শুনানি স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু অন্য শুনানি হয়েছে।


আরেক অভিযোগকারী বিপ্লব চৌধুরী জানিয়েছেন, শুধু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, সামান্য তথ্য দিতেও অনিহা কমিশনের। সাধারণত যে দফতরের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়ার পর কমিশন আর কিছুই করে না। অথচ উত্তর না দিয়েই কেস সলভড বলে খারিজ করে দেওয়া হয়। বিপ্লব বাবুর অভিযোগ, তাঁর ৮০০ কেস এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আদালতে এই কারণেই মামলার পাহাড় জমে। 


 রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান টুইটে লিখেছেন, “তথ্য চাইলেই শাসকদল বলছে, রাজ্যপাল রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট।" যাকে ঘিরে অভিযোগ সেই কমিশনার বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "কমিশনে জীবন, মৃত্যু ও শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। পরিকাঠামোর অভাবে লকডাউনের সময় থেকে ফুল ফোর্সে কাজ করা সম্ভব হয়নি। অনলাইনে প্রায়োরিটি মামলা শোনা হচ্ছে। মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মামলা শোনা হয়েছে।"


আরও পড়ুন, হাইকোর্টে ধাক্কা অভিভাবকদের, ১৫ অগাস্টের মধ্যে দিতে হবে স্কুলের বকেয়া ফি-র ৮০ শতাংশ