নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যকে আয়ুষ্মান ভারতে নাম লেখানোর পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল। পরোক্ষে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মানুষের প্রয়োজন না মেটার অভিযোগ করলেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবারে শিরোনামে এল রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা নির্বাচনে আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত থেকে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে বিতর্কও হয় বিস্তর। সেই বিতর্কেই এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন রাজ্যপাল। এবার আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রাজভবনে আসার ১০০ দিনের মধ্যেই বাংলার নানা প্রান্ত থেকে প্রায় তিন হাজার আর্জি পৌঁছেছে তার কাছে। আর এসবই হচ্ছে চিকিত্‍সার খরচ বহন করতে না পেরে আবেদন।


রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর চলতি সংঘাতের মধ্যেই এদিন নাম না করে তিনি রাজ্যের নিজস্ব বিমা প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে সরকারের দিকে আঙুল তুলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মন্তব্য করেন, চিকিত্‍সা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আয়ুষ্মানে যোগ দেওয়া উচিত রাজ্যের।



আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ দিতে ৬০ শতাংশ খরচ বহন করে কেন্দ্র। রাজ্যকে দিতে হয় ৪০ শতাংশ টাকা। কিন্তু, উপভোক্তাদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার যে কার্ড পাঠাচ্ছে তাতে শুধুই প্রধানমন্ত্রীর ছবি রয়েছে। এই অভিযোগে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নিজস্ব স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর পরিধি বাড়ানোর কথাও জানান তিনি।


আরও পড়ুন, বৈঠকে অনুপস্থিত শোভন, তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে চলো নীতি নিচ্ছে তৃণমূল


এদিন কলকাতায় চিকিত্‍সা সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল। সেখানেই আয়ুষ্মান নিয়ে তাঁর মত ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি জগদীপ ধনখড় এদিন রাজ্যপালের বরাদ্দ নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন। বলেন, একজন সাংসদ তাঁর এলাকার উন্নয়নের জন্য ৫ কোটি টাকা পেলেও, রাজ্যপালের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি টাকা। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।