নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের জেরে ব্যাহত হচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। আউটডোর থেকে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। ইতিমধ্যে গণইস্তফা দিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজই মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে বাংলায় হিংসার ঘটনা নিয়ে ইদানীং রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী চাপানউতোর চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।প্রতিনিধিও পাঠাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এদিন এনআরএস-কাণ্ডে আহত জুনিয়র চিকিত্সক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যান কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তখনই রাজ্যপাল বলেন,''মু্খ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সাড়া পাইনি। তিনি আসলে কথা হবে''।



সমাধানসূত্র খুঁজতে সুকুমার মুখোপাধ্যায়, এম এল সাহা, অলকেন্দু ঘোষ, অভিজিত্ চৌধুরির মতো বিশিষ্ট চিকিত্সকদের নবান্নে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিন শহরে চিকিত্সকদের সঙ্গে মিছিলেন হেঁটেছেন অপর্ণা সেন, অনুপম রায়, সুজাত ভদ্র, বিনায়ক সেনও। জয়েন্ট ডরক্টস প্ল্যাটফর্মের তরফে এনআরএস থেকে কলকাতা  ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল পর্যন্ত মিছিল করা হয়। চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে এককাট্টা সকলেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও চলছে প্রতিবাদ মিছিল। এনআরএস-এ আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছেন রূপস ইসলাম, শ্রীলেখা। সকালে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন।


চিকিত্সকদের তরফে ছ’দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। সেগুলি হল, “মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা পদবী দেখে চিকিত্সা করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর আলোচনা। মুখ্যমন্ত্রী না এলে আন্দোলন উঠবে না। আহত পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যেতে হবে।” চিকিত্সকদের তরফে এই দাবি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকরা গণইস্তফা দিচ্ছেন।


আরও পড়ুন- দার্জিলিঙের স্থায়ী সমাধান চাই, বাংলা ভেঙে গোর্খাল্যান্ড চাইলেন মুকুল?