শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত যেন মিটছেই না। এবার বেনজিরকাণ্ড বিধানসভায়। রাজ্যপালের সম্মতি না মেলায় বিল আটকে রয়েছে বলে অধিবেশন স্থগিত করে দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে  রাজভবন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রাজ্যপালের কারণে কোনও বিলে বিলম্ব হয়নি। বরং সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি থেকে আসেনি দকারি তথ্য। সে কারণে সই করতে পারেননি রাজ্যপাল।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জের এবার পৌছে গেল খাস বিধানসভার অন্দরে। মঙ্গলবার নজিরবিহীনভাবে ২ দিনের জন্য অধিবেশন স্থগিত করেন স্পিকার। যুক্তি দেওয়া হয়েছে, রাজভবনে আটকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল। সেগুলি পেশ করা যাবে না। সে জন্য অধিবেশন স্থগিত রাখা হচ্ছে। তপসিলি জাতি-উপজাতির উন্নয়নে একটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর এই সংক্রান্ত বিল পাঠানো হয় রাজভবনে। রাজ্যপালের সম্মতির পর বুধ ও বৃহস্পতিবার এই বিল পেশ হওয়ার কথা ছিল বিধানসভায়। তারপর আলোচনা। কিন্তু রাজভবনের সচিবালয় থেকে বিল ফেরত না আসায় দুদিন বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল বিলে সম্মতি না দেওয়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সরকার।


ফিরহাদ হাকিম বলেন,''মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিলের খসড়া তৈরি করা হয়। সেই বিল পাঠানো হয় রাজ্যপালের সম্মতির জন্য। রাজ্যপাল সম্মতি দিলে সেই বিল বিধানসভায় পেশ করা হয়। তারপর ওই বিল নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর আবার রাজ্যপালের কাছে ফিরে যায় সেই বিল। রাজ্যপাল সই করে পাঠালে সেই বিল পাশ হয় বিধানসভায়। এর পর সেই বিল আইনে রূপ পায়।''



তপসিলি জাতি-উপসাতি বিল-সহ ৫টি বিলে সম্মতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন। রাজভবন বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি থেকে উপযুক্ত তথ্য না আসায় তিনি ওই বিলগুলিতে সম্মতি দেননি রাজ্যপাল। বিলম্বের কারণ রাজ্যপাল নন।     


কোনও ছুটির দিন ছাড়াই দুম করে ২ দিন বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত হওয়ায় রাজ্যকেই দুষছে বিরোধীরা। রাজ্যের অবশ্য দাবি, বিধানসভার কর্মসূচি আগেই ঠিক করে দেয় বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটি। রাজ্যপাল বিলে সম্মতি না দেওয়ায় সেই বিলগুলি পেশ করা যাচ্ছে না। সুতরাং ২ দিন আলোচনা হওয়ারও কোনও সুযোগ নেই।


আরও পড়ুন- হারের ময়নাতদন্তে তিন কেন্দ্রে ৩ নেতাকে পাঠাচ্ছে বিজেপি