নিজস্ব প্রতিবেদন: গণপিটুনি প্রতিরোধ বিলের তথ্য যাচাই করবেন রাজ্যপাল। ৩০ অগাস্ট অধিবেশনকক্ষে পেশ করা বিলের সঙ্গে খসড়াও বিলের অসঙ্গতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধীরা, সেটাই খতিয়ে দেখবেন জগদীপ ধনখড়। রাজভবন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আবদুল মান্নানের অভিযোগ সত্যি কিনা, যাচাই করবেন রাজ্যপাল। প্রয়োজনে ওই দিনের বিধানসভার কার্যবিবরণীও চেয়ে পাঠাবেন তিনি। তাতেও সন্তুষ্ট না হলে স্পিকারের এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের গণপিটুনি বিলের যে প্রাথমিক খসড়াটি দেওয়া হয়, সেখানে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে যাবজ্জীবনের সুপারিশ করা হয়। অথচ শেষবেলায় বদল করা হয় খসড়া। খসড়া পাল্টে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান করা হয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, গণপিটুনির ফলে কারও মৃত্যু হলে আইনের চোখে খুন হিসাবে ধরা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী, খুনের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। এদিকে গণপিটুনি বিলের খসড়াতে যাবজ্জীবনের ফলে সাজা লঘু হয়ে যাচ্ছিল। ফলে তড়িঘড়ি খসড়ায় বদল আনা হয়। কিন্তু সে বিষয়ে বিধায়কদের অবহিত করতে কোনও সংশোধনী বিল সামনে আনেনি সরকার। ফলে, তৈরি হয় চূড়ান্ত অসংগতি।



বিল ও খসড়ার অসংগতির অভিযোগে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তীরা। মান্নানদের অভিযোগ, বিলের প্রাথমিক খসড়ায় সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবনের সুপারিশ করা হয়। অথচ শেষবেলায় খসড়া বদলে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি করা হয়। বিলের খসড়া বদলের ক্ষেত্রে সংশোধনী বিল পেশ করাই নিয়ম। কিন্তু, এক্ষেত্রে কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। কোনও সংশোধনী বিল ছাড়াই পরিবর্তিত বিল পেশ করা হয়। 


এবিষয়ে সবিস্তারে তথ্য সংগ্রহ করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।প্রয়োজনে বিধানসভার স্পিকারের কার্যবিবরণী চেয়ে পাঠাবেন তিনি। কার্যবিবরণী খতিয়ে দেখবেন রাজ্যপাল। সেই কার্যবিবরণীর রেকর্ড থেকে কেন কোনও সংশোধনী বিল পেশ করা হল না, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন তিনি। তবে, তাতেও সন্তুষ্ট না হলে সরাসরি স্পিকারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন রাজ্যপাল। 


আরও পড়ুন- ছবি:মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগে তুলির টানে দেবীর চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী