নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুরে প্রবেশিকা বিতর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। এদিন রাজ্যপাল স্পষ্ট জানালেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে  কর্মসমিতি যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা-ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করা হবে। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সেই সিদ্ধান্ত মানতে হবে পড়ুয়াদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অবস্থার প্রয়োজনে উপাচার্য হস্তক্ষেপ করতে পারেন। কিন্তু, আইন মেনেই সেই হস্তক্ষেপ করতে হবে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা রদ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। এদিন পঞ্চম দিনে পড়ল পড়ুয়াদের অনশন। অনশনের জেরে এদিন এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছে কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকেই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  


প্রবেশিকা প্রশ্নে এখন উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পঠনপাঠন কার্যত বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছিলেন, "যাদবপুরে পরিচালনার দায়িত্ব সামলানো খুব কঠিন কাজ।" এরপর শুক্রবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেও একই দাবি করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, "অগণতান্ত্রিক চাপে কাজ করা যাচ্ছে না।"


তারপর শুক্রবার বিকালেই উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ফের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। তখনই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তবে উপাচার্যকে তখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। উপাচার্যের কাছে থেকে সবকথা শোনার পর গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান তিনি।


আরও পড়ুন, সুখবর! বিপুল বেতন বৃদ্ধি পার্শ্ব শিক্ষকদের


যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে, এরপর রবিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই রাজভবনে যান। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে একদফা আলোচনা হওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও গিয়ে দেখা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে এখনও কোনও রফাসূত্র বেরয়নি। বরং এদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতেই ফের ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।