সন্দীপ প্রামাণিক ও বিক্রম দাস: হরিদেবপুরে আত্মঘাতী একদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। অনুমান করা হচ্ছে ঘুমের ওষুধ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে মামন দাস নামে ওই ছাত্রীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হরিদেবপুরের নব পল্লীর বাসিন্দা মামনের পরিবারের দাবি, এয়ার হোস্টেসের ট্রেনিং নিচ্ছিলেন মামন। ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য বই কিনতে পারছিলেন না। তাতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। 


কী কারণে আত্মঘাতী হলেন মামন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এনিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস। সম্প্রতি এয়ার হোস্টেসের ট্রেনিংয়ের জন্য দমদম এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন মামন। মা অতিকষ্টে ৮০ হাজার টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সবেমিলিয়ে প্রয়োজন ছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা। সেই টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না তার পরিবারের।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে গত ১০ জুলাই টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বচসা হয় মামনের। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে হরিদেবপুর নবপল্লীর সামনে কালী মন্দিরের পাশে বসে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে ভাইকে জানায়। এরপরই বাড়ির লোক তার খোঁজ শুরু করে। শেষপর্যন্ত কালী মন্দিরের সামনে অচৈতন্য অবস্থায় মামনকে দেখতে পায় এলাকার লোকজন।  সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর দেওয়া হয় তার বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তি করা হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। চিকিত্সার পর তার ছুটিও হয়ে যায়। কিন্তু সম্ভবত ডোজ বেশি হয়ে যায় যাওয়ায় গত ১৫ জুলাই তার মৃত্যু হয়।


মৃত ছাত্রীর মা লক্ষ্মী দাস বলেন, মেয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল কিছু করে দেখাবে। ওর বাবা আমাদের দেখে না। ভাড়া বাড়িতে থাকি। পরের বাড়িতে কাজ করি। ও ট্রেনিং শেষ করেছিল। তার পরও চাকরি হল না। ভর্তির সময় ওরা বসেছিল কোনও টাকা লাগবে না। কিন্তু পাস করার পরও ধাপে ধাপে অনেক টাকা গিয়েছি। শেষবার সোনা বিক্রি করে ১২ হাজার টাকা দিয়েছি। ওকে নাকি বলা হয়েছিল চাকরির জন্য ৩ লাখ টাকা লাগবে। তখনই ও মুষড়ে পড়ে।  


আরও পড়ুন-কিশোরী কর্মীকে ধর্ষণের পর অ্যাসিড খাওয়াল বর্বর মালিক


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)