নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ভ্যাকসিনের (Vaccine) দেদার অপচয়! দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ অভিযানের আগে নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। রাজ্যের সমস্ত টিকাকরণ কেন্দ্রে সেই নির্দেশিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণে কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছে চিকিৎসকমহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, টিকাকরণ অভিযানে প্রথম দিনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। শনিবার দিনভর টিকাকরণ কর্মসূচি (Vaccination) চলে কলকাতা-সহ রাজ্যের ২০৭টি কেন্দ্রে। ভ্যাকসিন নেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য দফতরের আশা ছিল, প্রতিটি কেন্দ্রে যদি ১০০ জন করেও আসেন, তাহলে ২০ হাজার ৭০০ জন কোভিশিল্ডের ডোজ পাবেন। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যা ছিল ১৬ হাজারের আশেপাশে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কম ভ্য়াকসিন (Vaccine) পাঠানোর অভিযোগ করেছেন, তখন স্বাস্থ্য দফতরের নজরে এল ভ্যাকসন অপচয়ের বিষয়টি। তড়িঘড়ি জারি করল নয়া নির্দেশিকাও।


আরও পড়ুন: খোদ কলকাতার বুকে অপেক্ষা করতে-করতেই মৃত্যু কোভিড রোগীর


ঘটনাটি ঠিক কী? শনিবার টিকাকরণ অভিযানের তদারকি করতে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের নজরে পড়েছে, একটি শিশি থেকে ১০ জনের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বহু জায়গায় সেই বাড়তি ভ্যাকসিন ব্যবহার না করে ফেলা দেওয়া হচ্ছে! কেন? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ৫ মিলিলিটার হিসেবে একটি শিশি থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে ১০ জনকে। সোমবার ফের দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ অভিযান চলবে রাজ্যে। ভ্যাকসিনের অপচয় রুখতে এবার নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ভ্য়াকসিন ফেলা দেওয়া বা অপচয় করা যাবে না। দশজনকে দেওয়ার পরেও যদি শিশিতে ৫ মিলিলিটার ভ্যাকসিন অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। যদি কমও হয়, সেক্ষেত্রে সেটুকু ভ্যাকসিনও ব্যবহার করতে হবে।


আরও পড়ুন: চাল চোর, ত্রিপল চোর, এবার ভ্যাকসিন চোর সরকার : Kailash


স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে খবর, প্রথমদিনেই পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ ভ্য়াকসিন নেওয়ার হার ছিল ১০০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ কোভিড যোদ্ধা ভ্য়াকসিন পেয়েছেন কলকাতা হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ-সহ পাঁচটি জেলায়।  শনিবার যে ২০৭টি কেন্দ্র থেকে ভ্য়াকসিন দেওয়া হয়েছে, সেই একই কেন্দ্রগুলিতে দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ অভিযানও চলবে। উল্লেখ্য, টিকাকরণ কর্মসূচি চলাকালীন শনিবার দুপুরে বিকল হয়ে যায় Co-Win App। সেটি এখনও ঠিক হয়নি। ফলে টিকাপ্রাপকদের নাম নথিভুক্ত করা-সহ বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে সমস্যা পড়ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।