চাল চোর, ত্রিপল চোর, এবার ভ্যাকসিন চোর সরকার : Kailash

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের যুক্তি ছিল, যে জনপ্রতিনিধিরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য। তাঁরা টিকা পেতেই পারেন। তবে বর্তমান ও প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিরা আদৌ কোভিড ওয়ারিয়র কিনা বা তাঁরা প্রথমদিনেই Vaccine পেতে পারেন কিনা, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। 

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Jan 17, 2021, 05:12 PM IST
চাল চোর, ত্রিপল চোর, এবার ভ্যাকসিন চোর সরকার : Kailash

নিজস্ব প্রতিবেদন : কোভিড ভ্যাকসিনকে (Covid Vaccine) কেন্দ্র করে তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। 'চাল চোর', 'ত্রিপল চোরের' পর এবার রাজ্য সরকারকে 'ভ্যাকসিন চোর' বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। তোপ দাগেন, কেন্দ্রের তরফে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়রদের। চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিস, পুরকর্মীদের সবার আগে এই টিকা দেওয়ার কথা। সেখানে নিয়ম লঙ্ঘন করে তৃণমূল (TMC) বিধায়করা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। টিকা নিয়েছেন অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বও।

প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে Covid Vaccination Drive। সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে টিকাকরণ। এদিকে টিকাকরণ শুরু হতেই দেখা দেয় বিতর্ক। দেখা যায়, আলিপুরদুয়ারে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের টিকাকরণের তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর (Sourav Chakraborty)। যা ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। পরে অবশ্য 'চাপের মুখে' ব্যাকগিয়ার দেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। "টিকা নিচ্ছি না," বলে জানান তিনি। বলেন, আগে সাধারণ মানুষ পাবেন, তারপর তিনি টিকা নেবেন। তিনি রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, তাই হয়তো তালিকায় তাঁর নাম ছিল! তাঁকে টিকা দেওয়া নিয়ে অকারণে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সৌরভ চক্রবর্তী।

তবে আলিপুরদুয়ার বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী টিকা না নিলেও  Covid Vaccine নেন কাটোয়ার পুরপ্রশাসক ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (Rabindranath Chatterjee)। টিকা নেন ভাতারের বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মন্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি বলেন, "আমার নাম এসেছে। তাই আমি টিকা নিতে এসেছি।" সুভাষ মন্ডল, বনমালী হাজরাও একইসুরে ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা জানান। তাঁদের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জহর বাগদিও গতকাল টিকা নেন। টিকা নেন পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের দলনেতা বাসুদেব যশও। 

আরও পড়ুন, প্রথম তালিকায় নাম নেই! বর্ধমানে Vaccine পেলেন না ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী

এপ্রসঙ্গে, পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়ের যুক্তি ছিল, যে জনপ্রতিনিধিরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য। তাঁরা টিকা পেতেই পারেন। তবে বর্তমান ও প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিরা আদৌ কোভিড ওয়ারিয়র কিনা বা তাঁরা প্রথমদিনেই Vaccine পেতে পারেন কিনা, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, শনিবার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে ফের তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অভিযোগ করেন, "কেন্দ্রীয় সরকার পরিমাণে কম ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। এতে সবার হবে না। কিন্ত উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজ্য সরকার সবাইকে ভ্যাকসিন দেবে।" 

মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরই পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) সাফ কথা,"এর থেকে বড় মিথ্যা আর কিছু হয় না। প্রধানমন্ত্রী ফ্রন্টলাইনে কাজ করা মানুষদের জন্য ভ্যাকসিন দিয়েছেন। কিন্তু নিজের লোকেরা প্রথমেই নিয়ে নিলে ভ্যাকসিন তো কম হবেই। চাল চোর, ত্রিপল চোর, ভ্যাকসিন চোর সরকার!"

আরও পড়ুন, তৃণমূল নেতারা এতদিন কাটমানি নিয়েছে, এখন ভ্যাকসিন নিয়ে নিচ্ছে: Dilip Ghosh

.