নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিসের অনুমতি না মেলায় বন্ধ হওয়ার মুখে ছিল আমরা কজন ক্লাবের গণেশ পুজো। অনুমতি আদায় করতে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ক্লাবের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি হল উচ্চ আদালতে। বিশেষ শর্তসাপেক্ষে পুজো করার অনুমতি পেল আমরা কজন ক্লাব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৯ বছর ধরে গণেশ পুজোর আয়োজন করছে গড়ফা থানা এলাকার গাঙ্গুলি পুকুর মোড়ের আমরা কজন ক্লাব। কোনও বছরেই পুজো আয়োজনের আগে পুলিসের অনুমতি পেতে সমস্যা হয়নি তাঁদের। কিন্তু এ বছরে পুজো আয়োজনের অনুমতি দেয়নি পুলিস। পুলিসের বক্তব্য, একই এলাকায় পাশাপাশি দুটি গণেশ পুজো হয়। এর ফলে যানজটের সমস্যা বাড়ে। সেই কারণেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। 


আরও পড়ুন-  জ্যোতি বসুর নামের জমি বামেদের দিল সরকার, চা খাইয়ে সিপিএমকে বাঁচাচ্ছে তৃণমূল, কটাক্ষ দিলীপের



এর পেছনে অবশ্য অন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন ক্লাব সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ক্লাবের সভাপতি প্রীতম দত্ত দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। আর তার পরেই তাঁর ক্লাবের পুজোর অনুমতি দিতে গিয়ে বেঁকে বসেছে প্রশাসন।


আরও পড়ুন-  ‘রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে মদন মিত্রের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না’, হাইকোর্টে আবেদন তাঁর আইনজীবীর


এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পুজো উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। ক্লাব পক্ষের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সওয়াল করেন, রাজনৈতিক কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবী অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যানজটের সমস্যা দূর করতেই দেওয়া হয়নি অনুমতি। তার সঙ্গে তিনি এও জানান যে, পুজো কমিটি যদি ট্রাফিক আইন মেনে আয়োজন করেন, তবেই অনুমতি দেওয়া হবে।


উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আমরা কজন ক্লাবকে নির্দেশ দেন, "ট্রাফিক আইন মেনে পুজো আয়োজন করার শর্তেই মিলবে অনুমতি।" শুধু তাই নয়, কলকাতা পুলিসের ট্রাফিকের কাছেও অনুমতি নিতে  নির্দেশ দেন বিচারপতি।