জ্যোতি বসুর নামের জমি বামেদের দিল সরকার, চা খাইয়ে সিপিএমকে বাঁচাচ্ছে তৃণমূল, কটাক্ষ দিলীপের
বিজেপির আতঙ্কে চা খাইয়ে দোকান খুলে সিপিএমকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিউটাউনে জ্যোতি বসুর নামে জমি সিপিএমকে দিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ওই জমি চান সুজন চক্রবর্তীরা। এক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদনও পাওয়া যায়। গতকাল অর্থাত্ বুধবারই এবিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।
এবিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “জ্যোতি বসু রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জমি পেয়েছেন এটা খুব ভালো ঘটনা। ওঁ একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও এবার আমরা জমি চাইব রাজ্য সরকারের কাছে। বিজেপির আতঙ্কে চা খাইয়ে দোকান খুলে সিপিএমকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল।”
তিনি আরও বলেন, “জ্যোতি বসুর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত আলাপ ছিল না, তবে দেখতে যেতেই পারি। উনি যখন রাজনীতি থেকে প্রায় সরে গিয়েছেন, তখন আমাদের উত্থান। ফলে আমাদের সঙ্গে সেভাবে পরিচিতি নেই ওঁর। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের পরিচয়। আমরা চাইব বুদ্ধবাবু সুস্থ হয়ে উঠুক।”
‘রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে মদন মিত্রের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না’, হাইকোর্টে আবেদন তাঁর আইনজীবীর
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আট বছর আটকে রাখার পর এই জমির ছাড়পত্র দিল রাজ্য। নিউটাউনে ৫ একর জমি আটকে ছিল। গত ২৮ জুন জ্যোতি বসুর স্মারক মিউজিয়ামের জমি জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন বামেরা। এই আবেদনে সাড়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে দুপক্ষের বৈঠক হয়।
বামেদের বেশ কয়েকটি দাবি ছিল, তা নিয়ে আলোচনা হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, ২০১১ সালের জ্যোতি বসুর নামে যে জমি তাঁরা নিয়েছিলেন, তৃণমূল সরকার আসার পর সেবিষয়ে কোনও হস্তান্তর করা হয়নি।
অর্থাত্ ২০১১ সালে এই জমি বরাদ্দ হলেও, তা এখনও হস্তান্তর হয়নি। বাম আমলেই নিউটাউনে ৫একর জমি কেনেন সিপিএম। ঠিক হয় ওখানে গবেষণা হবে। সেই কারণেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন বাম নেতারা। সেখানে তাঁরা আবেদন করেন, এই জমি তাঁদের দিতে হবে। সব টাকা তাঁরা আগেই দিয়ে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র জমির পজেশন দেয়নি সরকার। বেশ কিছু জটিলতায় এই জমি এখনও তাঁরা হাতে পাননি।
এনিয়ে বামেরা একাধিকবার হিডকো চেয়ারম্যান, পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্মদিনের আগেই ওই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিরোধীরা এই বিষয়টি কটাক্ষ করে বলছেন, “এখন বামেদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই সিদ্ধান্ত।”