৩০ জানুয়ারি ফের বাংলায় শাহ, ঠাকুরনগরে মতুয়াদের নিয়ে সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩০ জানুয়ারি ফের বাংলায় শাহ, ঠাকুরনগরে মতুয়াদের নিয়ে সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন- ২১-এর নির্বাচনের আগে বাংলায় শক্ত ভিত গড়তে বদ্ধপরিকর বিজেপি। আর তাই চলতি মাসের শেষ আরও একবার বাংলায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৩০ শে জানুয়ারি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে সমাবেশে থাকবেন তিনি। মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অনেক দিন ধরেই এই সভার জন্য আর্জি জানাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। শেষমেশ তাঁর ও মতুয়াদের আবেদনে সাড়া দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, ৩০শে জানুয়ারি শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে ঠাকুরনগরে সভা করবেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন- চায়ের পেয়ালায় Dilip, ১০০% অর্গ্যানিক দার্জিলিং টি ব্যাগে BJP-র রাজ্য সভাপতি
সিএএ নিয়ে মতুয়াদের আশ্বাস দেবেন অমিত শাহ? ৩০শে জানুয়ারি সভা থেকেই কি তিনি মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করবেন! বহুদিন ধরেই বনগাঁর সাংসদ ও মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানাচ্ছিলেন, সিএএ লাগু হলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব যে নিশ্চিত হবে, তা যেন জানানো হয়। অমিত শাহ তাই ৩০শে জানুয়ারি সশরীরে ঠাকুরনগরে হাজির থেকে মতুয়াদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে আশ্বাস দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অমিত শাহের এই সফর কিন্তু রাজনৈতিকভাবেও যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে ২১-এর নির্বাচনের আগে মতুয়াদের ভোট ব্যাঙ্ক-কে প্রাধান্য দিচ্ছে, সেটাই যেন বারবার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তিনদিন আগেই শান্তনু ঠাকুরের দাবি মেনে বনগাঁ লোকসভা এলাকাকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা বলে ঘোষণা করেছিল বিজেপি শিবির। এতদিন পর্যন্ত বারাসাত জেলার মধ্যেই ধরা হত বনগাঁকে। শান্তনু ঠাকুরের দাবিদাওয়া ও মতুয়া সমস্যা শুনতে এর আগে রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন। তবে এর পরও যেন শান্তনু ঠাকুরের মানভঞ্জন হচ্ছিল না। ইতিমধ্যে তাঁর তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনাও জোরালো হতে শুরু করে। শান্তনু শুনিয়ে রাখেন, তাঁর কাছে আগে মতুয়াদের স্বার্থ। তার পর বিজেপি। তবে তৃণমূলে যাওয়ার ব্যাপার তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তবে তাঁর দাবি মেনেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক কী পরিকল্পনা করছে, তা ৩০শে জানুয়ারির সমাবেশ থেকে ব্যাখ্যা করতে পারেন অমিত শাহ।