মানবিক সরকার, রিভিউয়ের পর HS-এ পাসের হার প্রায় ১০০%
রিভিউয়ের জন্য আবেদন পড়েছিল ১৪,২০০টি। সংশোধনের পর পাসের হার প্রায় একশো শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদন: উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের পর রাজ্যের বিভিন্ন অংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা। কোথাও কম নম্বর দেওয়া, আবার কোথাও ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে। সমস্যা সমাধানে ওই সব পড়ুয়াদের ফলাফল রিভিউয়ের পর সবাইকে পাস করিয়ে দিল উচ্চ মাধ্যামিক শিক্ষা সংসদ।
আরও পড়ুন-জলবন্দি ঘাটাল; পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট, নৌকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সুব্রত
সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, রিভিউয়ের জন্য আবেদন পড়েছিল ১৪,২০০টি। অকৃতকার্য হয়েছিল ১৮,০০০ পরীক্ষার্থী। ফলাফল সংশোধনের পর এদের সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হল। ফলে পাসের হার দাঁড়াল প্রায় একশো শতাংশ। সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে বলেছিল। আমাদের সরকার মানবিক। তাই কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হল। যারা এনরোল্ড হয়নি তারা বাদে পাস করল সবাই।
এদিন মহুয়া দাস বলেন, মার্চ, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার সময়সূচি তৈরি করি। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে ৭ জুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন প্রশ্ন ওঠে, পরীক্ষা বিকল্প হিসেবে কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটি ও মতামতের ভিত্তিতে মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ, একাদশের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে ফলাফল তৈরি করা হয়। বিষয়টি ১৮ জুন জানিয়ে দেওয়া হয়। ১৮-২৮ জুন পর্যন্ত নম্বর জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। ২৮ জুনের পর দেখা যায় বহু রেজাল্ট অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ। ২২ জুলাই ফলাফাল প্রকাশ করা হয়। তখন বলা হয়, স্কুলগুলি পড়ুয়াদের যে মার্কস পাঠিয়েছে তার ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এও বলা হয় স্কুলের পাঠানো নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে যদি কোনও অসংগতি থাকে তাহলে রিভিউয়ের জন্য় আবেদন করা যেতে পারে। তাতে সংসদ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। রিভিউয়ের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ২২ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ৩০ জুলাই করা হয়। পাশাপাশি নম্বর সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন-Babul-এর মানভঞ্জনে তৎপর BJP, আজ বৈঠক করবেন JP Nadda
উল্লেখ্য,গত বছর জুলাই একাদশ থেকে দ্বাদশে পড়ুয়াদের প্রমোশন দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সাংসদ। গত ৩০ জুলাই অন্য একটি নোটিস দিয়ে বলা হয় নূন্যতম নম্বর দিয়েই প্রমোশন দিতে হবে।
এদিকে, স্কুলের পাঠানো নম্বরে দেখা যায় বেশকিছু পড়ুয়া অকৃতকার্য হয়েছে। ফলে ৯৮ শতাংশ পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করার পরও দেড় থেকে দুই শতাংশ পড়ুয়া অর্থাত্ ১৮ হাজার পড়ুয়া আটকে যায় এবং বহু পড়ুয়া এনরোল্ডই হয়নি। তারাই বিক্ষোভ করেছে। তবে শুধুমাত্র যারা এনরোল্ড হয়নি তারা বাদে সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হল। এমনটাই জানালেন মহুয়া দাস।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)