শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়'। বিধানসভায় লক্ষ্মী ভাণ্ডার নিয়ে এবার দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর প্রশ্নের জবাব দিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Howrah Station: হাওড়া স্টেশনে অনলাইনে হলুদ ট্যাক্সি পরিষেবা, চালু সরকারি অ্যাপ


বাংলার মহিলাদের জন্য একটি নয়া প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নাম, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা, আর যাঁরা তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির, তাঁদের মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটে আগে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয় বিধবাদেরও। এমনকী, যাঁরা বিধবা ভাতা পান, তাঁরা এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সাহায্য পান।


তাহলে? এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেবরার তৃণমূল হুমায়ুন কবীর জানতে চান, 'মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১ হাজার দেওয়া যায় কি'? প্রতীচী স্ট্রাস্টের রিপোর্ট পেশ করে তিনি বলেন, 'রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। অন্তত ওবিসি মুসলিম মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক'।


তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্যে তখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিধানসভায়। জবাবি ভাষণে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'ধর্মীয়ভাবে এটা করা হয় না, প্রান্তিক মানুষের জন্য করা হয়'।


অধিবেশন শেষে হুমায়ন কবীর অবশ্য বলেন, 'ওবিসির ক্ষেত্রে আমি বলেছি, যদি করা যায়'। রাজ্যে কি মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থায় সত্যিই খারাপ? তৃণমূল বিধায়কের জবাব, 'বিভিন্ন সার্ভে থেকে দেখে নিতে পারেন।  আমার বক্তব্য ধরতে হবে না। স্বাধীনতার পর সরকার থেকে কোনও সমীক্ষা হয়নি। সমীক্ষাটা কারা করে? এনজিওরা করে'।


মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, 'এটাও বললেন যে, কিছু কিছু ওখানে নাকি রাজনৈতিক কথাগুলি বলেছেন। এবং সেটা ভোট সংক্রান্ত। কেউ ১ হাজার পাচ্ছে, যেহেতু সে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। কেউ ৫০০ পাচ্ছে, যেহেতু ভোট দেয়নি। এই ব্য়াখ্যা বা বিভ্রান্তি যাঁরা তৈরি করছেন, এটা করা উচিত নয়। ধর্মের ভিত্তি কিন্তু ১ হাজার বা পাঁচশো করা হয়নি। এটা এসএসসি, এসটি ও জেনারেল বলে। তাঁর অঞ্চলে হয়তো এই ধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি সমর্থন করেন না। কিন্তু প্রসঙ্গত উঠেছে'।



আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: 'গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে অমিত শাহর জুতো পালিশ করতে গিয়েছিল শুভেন্দু'


কোনও একটি নির্দিষ্ট জেলা নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনভর অশান্তি চলেছিল গোটা রাজ্যেই। হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, 'এত মানুষ খুন হলেন, আটকানো গেল না। এটা আমাদের সবার ব্যর্থতা'। তাঁর আক্ষেপ, 'যেখানে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বারবার করে বলেছে, যেভাবেই হোক গ্রাউন্ড লেভেলে আমরা যারা কাজ করছি, আমাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছয়নি বা আমরা সাধারণ কর্মীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারেনি। বিরোধীরা দল যাঁরা রয়েছে, তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল যাতে মানুষের মৃত্যুটা না হয়'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)