নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এখানে দাঁড়িয়ে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, মানুষকে অত্যাচার করবেন না, শুধরে যান। মে মাসের পর সব হিসেব হবে।' সকালে চা চক্রে বেরিয়ে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। গতকালই  'সব বেচে দে' লেখা গেঞ্জি পরে ইকোপার্কের মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন। আর আজ সকালে তাঁদের উদ্দেশেই তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী কী বললেন দিলীপ ঘোষ
* স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিচ্ছে হাসপাতাল সেই কার্ড নেয় না। 
* হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু সেখানে আগে টাকা পরে ডাক্তার। 
* এখানে কোথাও চাকরি নেই সব যাচ্ছে বাংলার বাইরে। 
* দুয়ারে সরকার করছে। বিডিও নাকি বাড়িতে আসবে? কেউ বিশ্বাস করে এই কথা?  কত রকম সাথী কত রকম শ্রী! টাকা আসছে কোথা থেকে? কেন্দ্র নাকি টাকা দেয় না! এরা বাড়ি এলে ছাড়বেন না নারকেল গাছে বেঁধে জবাব চাইবেন!
* ভাইপোকে কি ভাগ্নে বলব? আদর করে বলতাম এত রাগ করার কী আছে?
* জঙ্গলমহলে তিনদিন বসেছিল দিদিমণি। কেউ খেতে ডাকেনি কেউ দেখা করতেও আসেনি। এবার বসার জন্য অন্তত একটা খাটিয়া পেয়েছে এরপরে চাটাই ও পাবেন না। 
* ওয়েস্টবেঙ্গল পুলিসকে বুথের কাছে যেতে দেব না, সেন্ট্রাল ফোর্স সব পাহারা দেবে ভোটে।
* শুভেন্দু নিয়ে মাস্টারমশাই এমন ঝটকা খেয়েছেন এখন চুপ মেরে গেছেন।
* প্রাইভেট কোম্পানির চেয়েও খারাপ অবস্থা টিএমসির।


* প্রত্যেক নেতা রাত হলেই পার্টি, বোতল। সবকটা নেতার চেহারা দেখুন, টাকা কোথা থেকে এলো? হয় সিন্ডিকেটের টাকা না হলে পঞ্চায়েতের ঝাড়া টাকা। সবকটাকে কোমরে দড়ি পরিয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাব। 
* সব নেতাদের নীল-সাদা বাড়ি গাড়ি। এই বাড়ি গাড়ি মে মাসের পরে ভোগ করতে দেব না। সব অকশন করব। কে কিনবেন ভেবে রাখুন। 
* দিদি কেন জেলে যাবেন বলছেন? কেন জেলের স্বপ্ন এখন দেখছেন? জেল তো আরও সংস্কার করেছে দিদি। 


আরও পড়ুন:  গভীর রাতে বিধাননগরে আন্দোলনকারী প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিল পুলিস


রোজই ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই কিছু না কিছু মন্তব্য করেন। অন্য়থা হল না আজও। এদিন  শুভেন্দু প্রসঙ্গে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কিছু বলার নেই। বৈঠকেরও এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভবনা নেই বলে জানান তিনি। এই ঘটনায় সৌগত রায়ের নাম না করে দিলীপের কটাক্ষ, উনি সাইড লাইনে থাকেন। মাঠে নেমে সেমসাইড গোল খেয়ে গিয়েছেন। 


অন্যদিকে মিহির, নিশীথকে নিয়ে দিলীপ জানান, ওরা গতকাল রাতে এসেছিলেন। দিল্লি থেকে ফিরে উনারা আমার সঙ্গে কথা বলেন। দলীয় কাজকর্ম শুরু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, আপার প্রাইমারি আন্দোলনকারীদের নিয়ে  তুলে দেওয়া নিয়ে তার বক্তব্য গোটা রাজ্যে ১৪৪ করা হচ্ছে। কাউকে মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। মাদ্রাসার টিচারদেরও আন্দোলনের আগে তুলে নেওয়া হয়। 


শেষ নয় এখানেও, মদন মিত্রের 'প্যাক আপ' পোস্ট কটাক্ষের সুরে দিলীপের মন্তব্য, 'সন্তুষ্ট করতে এসব কাজ করছেন। পার্টি ও সরকারে নতুন পদ তৈরি করা হচ্ছে। আগে এই কারণে পুরষ্কার চালু করেছিলেন।'