Municipal Election: করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে পুরভোট বন্ধ হোক, সরব দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র বিশ্বজিত্ দেব বলেন, দিলীপবাবু ভালো করেই জানেন বিজেপির পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই। দলের অবস্থা একেবারে শোচনীয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের উপরে। এই অবস্থায় মাথার উপরে ৪ পুরসভার নির্বাচন। সংক্রমণ আরও বাড়লে কী হবে? এনিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করার পাশাপাশি ভোট বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার সংবাদমাধ্য়মে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। সেই সময় মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে করোনা বাড়ছিল। আর এখানে আওয়াজ উঠছিল ভোট বন্ধ করে দাও। আর এখন রাজ্যে কয়েকটি পুরসভার ভোট হবে তখন সেটা করতে পারছে না রাজ্য সরকার। কারণ ভোটটা লুট করতে হবে। কলকাতার সঙ্গে একসঙ্গেই অন্যান্য পুরসভার ভোট করিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে এই উদ্বেগ থাকতো না।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি এরপর কী হবে জানি না। যদি আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ব্যাপক হারে করোনা ছড়ায় তাহলে আদৌ কি ভোট সম্ভব? আর বাকী যে ১১৫টা পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা তার কী হবে? সেগুলো তো আরও জলের মধ্যে পড়ে যাবে। সরকার চায় না পুর ভোট হোক। আমাদের বক্তব্য ছিল সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে হোক। সেটা করা হয়নি। কোর্টের কাছ কানমোলা খেয়েও ইচ্ছে করে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন করোনা পরিস্থিতি সেরকম হলে তা হলে নিশ্চয় বৈঠক বন্ধ করা উচিত।
আরও পড়ুন-ভরা মরশুমে বন্ধ পর্যটন, দিন চলবে কী করে? 'মাথায় হাত' সুন্দরবন ব্যবসায়ীদের
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র বিশ্বজিত্ দেব বলেন, দিলীপবাবু ভালো করেই জানেন বিজেপির পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই। দলের অবস্থা একেবারে শোচনীয়। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন ও কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে সেই প্রমাণ দিলীপবাবুরা পেয়েছেন। দিলীপবাবুরা চাইছেন না এখানে নির্বাচন হোক। ভোটের মুখোমুখি হতে চাইছেন না তাঁরা। কারণ মানুষের সমর্থন তাঁদের সঙ্গে নেই। ফের তাদের ভরাডুবি হবে। এবার বাকী রইল বাংলায় পুর নির্বাচন কেন ভাগে ভাগে হচ্ছে। আমরা সবাই জানি করোনা পরিস্থিতি কী অবস্থায় রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কমিশন একটা কড়া অবস্থান নিয়েছে। কমিশন চাইছে ধাপে ধাপে নির্বাতন করাতে। এতে আপত্তি কেন? আট দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অনুরোধ করেছিলেন বিধানসভার শেষ তিন দফা একসঙ্গে করে দেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তা মানেনি। এতে মানুষ প্রাণহানি হয়েছে। আমরা এটা চাই না।
এদিকে, কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই ৪ পুরসভার নির্বাচন হবে। এমনটাই সূত্রের খবর। পুর নির্বাচন নিয়ে আজ মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। থাকছেন স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবও। ওই চার পুরসভায় নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি রয়েছে কিনা তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হবে।