সুতপা সেন: ইডেনে ঐতিহাসিক গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ দেখতে এসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতের ভূমিকার কথা স্মরণ করলেন শেখ হাসিনা। শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সৌজন্য সাক্ষাত্ বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা বলেন,''ভারতবাসীর অবদান চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। এক কোটি শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছিল''।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের মাটিতে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে ইডেনে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিসিসিআই সভাপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে হাসিনা আগেই জানিয়েছিলেন, সৌরভ বাঙালি ঘরের ছেলে। সে কারণে না বলতে পারেননি। শুক্রবার আরও একবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন,''বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি। সৌরভ দাওয়াত দিয়েছিল। গোলাপি বলে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে ভারতে। এজন্য এসেছি।''


ভারত-বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথাও মনে করিয়ে দেন হাসিনা। বলেন,''এখানে আসতে ভালো লাগে। মুজিবর রহমানের সময় থেকে ভারতবাসীর অবদান চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। ১ কোটি শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছিল আমি। তো মনে করি দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক।''




ইডেন টসে জিতে ব্যাট নেয় বাংলাদেশ। শামি-ইশান্ত-উমেশের আগুনের সামনে ১০৬ রানে অলআউট হয় তারা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন,''ক্রিকেট খেলায় ভালো করতে পারছি না। তবে আগামীতে ভালো হবে।''


এদিন গোলাপি বলে ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ইডেনে ছিল তারকার ছড়াছড়ি। ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচের সূচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে হাসিনার পরিচিত তৃণমূল নেত্রী। মধ্যাহ্নভোজনের সময় হাসিনার আতিথেয়তায় যাতে ত্রুটি না থাকে, সে দিকেও নজর দেন মমতা। হাসিনা তো বলেই ফেলেন, তুমি এত ছটফট করো কেন? সারাক্ষণ ঘুরে বেড়াও। এক জায়গায় বসতে পারো না। হাসিনা 'দি'র কথা শুনে হাসেন মমতা।                                   


আরও পড়ুন- ছবি: এত ছটফট কেন করো? এক জায়গায় বসতে পারো না! মমতাকে বললেন হাসিনা 'দিদি'