জাগুয়ার দুর্ঘটনায় ধৃতের ১১ দিনের পুলিসি হেফাজত, যোগ হল আরও কঠোর ২ ধারা
জানা গিয়েছে, সেদিন রাতে বার বার সিগন্যাল ভেঙেই ছুটছিল জাগুয়ারটি। দুর্ঘটনার আগেও মোট ৭টি ট্রাফিক সিগনাল ভাঙে ঘাতক গাড়িটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লাউডন স্ট্রিটের জাগুয়ার দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন নামী রেস্তরাঁর মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজ। এবার ধৃতকে ১১ দিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত।
আরসালান পারভেজকে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। শনিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ (সম্পত্তির ক্ষতি) এবং ৩০৪(২) (অনিচ্ছাকৃত খুন) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবার যোগ হল আরও ২ কঠোর ধারা। একটি পিডিপি অ্যাক্ট এবং অন্যটি ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা)। প্রসঙ্গতঃ ২৮ নভেম্বর, ২০১৮ থেকে ১২ জুলাই ২০১৯ অবধি মোট ৪৮ টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৪৩টি মামলা ওভার স্পিডের (দ্রুত গতিতে নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালানোর জন্য)। পুলিশের স্পিড রাডার গান-এ (Overspeed mv act 112) যা ধরা পড়েছে।
জানা গিয়েছে, সেদিন রাতে বার বার সিগন্যাল ভেঙেই ছুটেছিল জাগুয়ারটি। দুর্ঘটনার আগেও মোট ৭টি ট্রাফিক সিগনাল ভাঙে ঘাতক গাড়িটি। প্রতি ক্ষেত্রেই গাড়ির গতিবেগ ছিল ১০০-র ওপর। অভিযোগ প্রাণহানি হতে পারে জেনেও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করেনি অভিযুক্ত।
ঘটনায় মার্সিডিজ বেঞ্জে থাকা দুই আহতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, তীব্র গতিতেই তাঁদের দিকে ধেয়ে আসছিল জাগুয়ারটি। এরপর তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই ধৃতের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আরও দুই কঠোর ধারায় মামলা রুজুর আবেদন জানায় পুলিস।
আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটি না কি নেশাগ্রস্ত হাত? জাগুয়ার দুর্ঘটনায় জোরদার তদন্ত
শুক্রবার গভীর রাতে লাউডন স্ট্রিটে তীব্র গতিতে আসা একটি জাগুয়ার ধাক্কা মারে মার্সিডিজ বেঞ্জ। মার্সিডিজ বেঞ্জটি ছিটকে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি পুলিস কিয়স্কে। বৃষ্টির রাতে বেলাগাম গতির বলি হন কাজী মহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০) নামে ২ বাংলাদেশি নাগরিক। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দুর্ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।