যান্ত্রিক ত্রুটি না কি নেশাগ্রস্ত হাত? জাগুয়ার দুর্ঘটনায় জোরদার তদন্ত
সংগ্রহ করা হয়েছে ধৃতের রক্তের নমুনা। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে বিষয়টি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লাউডন স্ট্রিটের জাগুয়ার দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন নামী রেস্তরাঁর মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ (সম্পত্তির ক্ষতি) এবং ৩০৪(২) (অনিচ্ছাকৃত খুন) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের ইন্টারন্যাশনাল লাইসেন্স ছিল। ঘটনার সময়ে অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় সংগ্রহ করা হয়েছে ধৃতের রক্তের নমুনা। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট মিললেই স্পষ্ট হবে বিষয়টি। তবে ঘটনার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় রিপোর্ট থেকে কতটা কী জানা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।
পাশাপাশি গাড়ির মেকানিজম সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে জাগুয়ার কোম্পানির কাছে। ঘটনার সময় গাড়ির গতিবেগ ও অন্যান্য অবস্থাও খতিয়ে দেখছে ইডিআর ফ্যাটাল স্কোয়াড। গাড়ির মধ্যে থাকা ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার যাচাই করবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য, জানা গিয়েছে এর আগেও একাধিক ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙেছে এই জাগুয়ারটি।
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, বেপরোয়া জাগুয়ারের ধাক্কায় মৃত্যু ২ বাংলাদেশির
উল্লেখ্য, রাতের শহরে বেপরোয়া গতির প্রাণঘাতী খেলা অব্যাহত। শুক্রবার গভীর রাতে লাউডন স্ট্রিটে তীব্র গতিতে আসা একটি জাগুয়ার ধাক্কা মারে মার্সিডিজ বেঞ্জ। মার্সিডিজ বেঞ্জটি ছিটকে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি পুলিস কিয়স্কে। বৃষ্টির রাতে বেলাগাম গতির বলি হন কাজী মহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০) নামে ২ বাংলাদেশি নাগরিক। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দুর্ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।