নিজস্ব প্রতিবেদন:  বাড়িতে ছিল ল্যাব। আর সেই ল্যাবের আড়ালেই চলত আসল কাজ। অর্থাত্ ল্যাবে যাঁরা পরীক্ষা করাতে আসতেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই সদস্য খুঁজে নিত জেএমবি জঙ্গি আব্দুল বারির। ল্যাবের মধ্যে বসেই চলত মগজ ধোলাইয়ের কাজ। ধৃত অপর জঙ্গি নিজামুদ্দিন ছিল এলাকায় ডাক্তার বলে পরিচিত। বাড়িতে ল্যাবে বসে মগজ ধোলাইয়ের প্রধান দায়িত্ব ছিল মূলত তার ওপরই। প্রাথমিক জেরায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে এসটিএফ-এর হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোরে মালদহের সামসি থেকে আবদুল বারি ও নাজিমুদ্দিন খানকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। ধৃতরা উত্তর দিনাজপুর মডিউলের দায়িত্বে ছিল। কলকাতা পুলিসের স্পেশাল স্টাস্ক ফোর্স জানতে পেরেছে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকে নিয়ে উত্তরবঙ্গে সংখ্যালঘুদের উস্কানি দিয়ে জঙ্গি দলে টানার লক্ষ্য নিয়েছে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ।  


প্রেমিকার ‘মনবদল’, গ্রামেরই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় গলার নলি কাটল প্রাক্তন


বাংলায় কি ক্রমশ জাল বিস্তার করছে জেএমবি? মঙ্গলবার ভোরে মালদার সামসি থেকে আরও ২ সক্রিয় জামাত সদস্যের গ্রেফতারি, সেই আশঙ্কাকেই জোরালো করছে। ধৃত আবদুল বারি এবং নাজিমুদ্দিন খানের থেকে অসংখ্য ইসলামিক  পুস্তিকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন  উদ্ধার করেছে পুলিস। দুজনের দায়িত্ব ছিল উত্তর দিনাজপুর মডিউলে জঙ্গি নিয়োগ ও নতুন সদস্যদের বিস্ফোরক তৈরি ও আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর তালিম দিত। আবদুল বারির গ্রেফতারির খবরে হতবাক স্ত্রী থেকে পাড়া প্রতিবেশীরা। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিনাজপুরকে বেছে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। একইসঙ্গে বিহারেও যাতায়াত সুবিধাজনক। উত্তর দিনাজপুরে সরকারি নথিভূক্তহীন মাদ্রাসাগুলিকেও ব্যবহার করত জঙ্গিরা। মগজধোলাইয়ের জন্য নাগরকিপঞ্জীকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছিল তারা।