প্রেমিকার ‘মনবদল’, গ্রামেরই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় গলার নলি কাটল প্রাক্তন

নিজস্ব প্রতিবেদন:  দীর্ঘদিনের ভালোবাসা। কিন্তু হঠাত্ই তাতে ছন্দপতন। প্রেমিকা আচমকাই যোগাযোগ কমিয়ে দিতে শুরু করেছিলেন। ফোন ধরা তো দূরের কথা, একই গ্রামে থাকার দরুণ রাস্তায় মুখোমুখি হলেও এড়িয়ে যেতেন প্রেমিকা। কেন এমনটা হচ্ছে, প্রথমে বিশেষ কিছুই বুঝতে পারেননি বছর তিরিশের যুবক। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপর এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরই প্রেমিকা। আর তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত। ছুরি দিয়ে প্রেমিকার গলার নলি কেটে খুন করলেন তিনি। সঙ্গে ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনিও। ঘটনাটি ঘটেথে সুন্দরবনের কোস্টাল থানার লাহেরিপুর গ্রামে। মৃতার নাম ছবি মণ্ডল (২৬)।

লাহেরিপুর গ্রামেরই বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল ছবির। সেই সম্পর্কে ইদানীং চিড় ধরে। অভিযোগ, গ্রামেরই অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ছবি। প্রথমে প্রেমিকাকে বেশ কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রদীপ। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ছবি তাঁকে বিশেষ আমল দেন না। প্রদীপের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দুর্ব্যবহারও করেন ছবি।

যোগাযোগ কমিয়ে দেন প্রদীপও। কিন্তু ভিতরে ভিতরে যে তিনি কী ছক কষছিলেন, তার প্রমাণ পাওয়া যায় বুধবার। এদিন সকালে একটি ছুরি নিয়ে ছবির বাড়িতে চড়াও হন প্রদীপ। এরপর তাঁর গলার নলি কেটে দেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছবির।

প্রতিবেশীরা চিত্কার শুনতে পেয়ে ছুটে এসে ছবিকে মৃত অবস্থায় বিছানাতেই পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে দেখেন প্রদীপকেও। তাঁরও পেটে  ছুরির আঘাত রয়েছে। তবে কীভাবে তাঁর পেটে আঘাত লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ছবিকে খুন করার পর কী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন প্রদীপ? নাকি হাতাহাতির সময়ে ছুরির আঘাত তাঁরও পেটে লেগে যায়? অথবা আরও একটা সম্ভাবনার কথা এড়িয়ে যাচ্ছে না পুলিস। মনে করা হচ্ছে, ছবি খুন করার পর নিজে নাটক করার চেষ্টা করেছেন প্রদীপ। আপাতত তাঁকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।