নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার কলকাতা সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার তিন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ সংগঠনের জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় NIA। আজ অথবা আগামিকাল লালবাজারে গিয়ে ধৃতদের জেরা করতে চান জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকারিকরা। এই মর্মে সম্ভবত কলকাতা পুলিসের STF এর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন তদন্তকারীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যে তদন্তে উঠে এসেছে, মালহদ ও বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করেছে JMB জঙ্গিরা। প্রায় আড়াই বছর আগে এই শহরে ঘাঁটি গাড়ে নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ ওরফে জয়রাম ব্যাপারী। ২ মাস নয় ধৃত জঙ্গি মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির প্রায় তিন বছর ধরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে এই শহরে। দেড় মাস আগে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশ করে জঙ্গি রবিউল ইসলাম। অর্থাৎ যখন বিধি-নিষেধের কড়া নিয়মে কার্যত স্তব্ধ ছিল জনজীবন, তখন সীমান্ত টপকে এ রাজ্যে ঢুকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কলকাতায় পৌঁছয় রবিউল। ফলে গোটা ঘটনার সঙ্গে যেহেতু দেশের সুরক্ষার বিষয়টা জড়িয়ে তাই এবার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ধৃত জঙ্গিদের জেরা করতে চাইছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। 


আরও পড়ুন: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ ইস্যুতে আরও জোরাল প্রতিবাদ, শুভেন্দুর নেতৃত্বে দিল্লিতে পরিষদীয় দল!


আরও পড়ুন: কত দিন হল এ রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে JMB জঙ্গি সাবির-নাজিউররা? জানলে চমকে যাবেন


তিন জামাত জঙ্গি গ্রেফতার হলেও, এখনও পলাতক এ রাজ্যে JMB অন্যতম শীর্ষ হ্যান্ডলার সেলিম মুন্সী। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা একপ্রকার নিশ্চিত, সীমান্ত টপকে বাংলাদেশের পালিয়েছে সেলিম। তাকে পাকড়াও করার জন্য বর্তমানে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিসের STF। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হরিদেবপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করছিল এই সেলিম মুন্সী। এ রাজ্যে আসা জামাতের স্লিপার সেলের সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করে দেওয়ার মতো কাজ করত সে। সেলিম মুন্সীকে ধরতে পারলে, তা বড় সাফল্য হবে বলেই মনে করছেন কলকাতা পুলিসের STF-এর গোয়েন্দারা