কত দিন হল এ রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে JMB জঙ্গি সাবির-নাজিউররা? জানলে চমকে যাবেন
কবে এবং কীভাবে এ রাজ্যে ঢুকল জঙ্গিরা?
সঞ্জয় ভদ্র
খাস কলকাতা লাগোয়া হরিদেবপুর থেকে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের তিন জঙ্গিকে শনিবার পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিসের STF। ধৃতদের প্রাথমিক জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, কয়েক মাস ধরে এ রাজ্যে ঘাঁটি গেড়েছিল জঙ্গিরা। তবে তদন্ত এগোতে প্রকাশ্যে এসছে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো বিস্ফোরক সমস্ত তথ্য।
গোয়েন্দা সূত্রে Zee ২৪ ঘণ্টা জানতে পেরেছে, কয়েক মাস নয় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিশ্চিত এ রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিল জঙ্গিরা। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেরাত তারা। তদন্তে আগেই উঠে এসেছে যে, ধৃত জঙ্গি নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ ওরফে জয়রাম ব্যাপারীর সঙ্গে জামাতের ডাকাতি শাখার প্রধান আল আমিনের সরাসরি যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বছর আগে এই শহরে ঘাঁটি গাড়ে নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ ওরফে জয়রাম ব্যাপারী। সোদপুরের একটি ঠিকানায় নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্রও বানায় সে। এছাড়া তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, ২ মাস নয় ধৃত জঙ্গি মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির প্রায় তিন বছর ধরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে এই শহরে। ফল বিক্রেতার ছদ্মবেশে সকলের অলক্ষে নিজের কার্যসিদ্ধি করে যাচ্ছিল সে।
আরও পড়ুন:গ্রেফতারির আগেই পলাতক আরও এক JMB জঙ্গি, Exclusive ছবি Zee ২৪ ঘণ্টায়
ধৃতদের জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দেড় মাস আগে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশ করে জঙ্গি রবিউল ইসলাম। অর্থাৎ যে সময় বিধি-নিষেধের কড়া নিয়মে কার্যত স্তব্ধ ছিল জনজীবন, তখন সীমান্ত টপকে এ রাজ্যে ঢুকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কলকাতায় পৌঁছয় রবিউল। আর এখানেই গোয়েন্দাদের চিন্তা আরও বেড়েছ। কার্যত লকডাউনের নিয়ম কার্যকর থাকাকালীন কে বা কাদের সাহায্যে রবিউল এ রাজ্যে প্রবেশ করল? কারা তাকে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছে দিল? ইতিমধ্যে সেই খোঁজও শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: সীমান্ত টপকে ভারতে ১৫ Jamat জঙ্গি, টার্গেট কারা? জেরায় মিলল বিস্ফোরক তথ্য
তিন জামাত জঙ্গি গ্রেফতার হলেও, এখনও পলাতক এ রাজ্যে JMB অন্যতম শীর্ষ হ্যান্ডলার সেলিম মুন্সী। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা একপ্রকার নিশ্চিত, সীমান্ত টপকে বাংলাদেশের পালিয়েছে সেলিম। তাকে পাকড়াও করার জন্য বর্তমানে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিসের STF। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হরিদেবপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করছিল এই সেলিম মুন্সী। এ রাজ্যে আসা জামাতের স্লিপার সেলের সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করে দেওয়ার মতো কাজ করত সে। সেলিম মুন্সীকে ধরতে পারলে, তা বড় সাফল্য হবে বলেই মনে করছেন কলকাতা পুলিসের STF-এর গোয়েন্দারা।