Justice Abhijit Gangopadhyay: `রং বদলায়, দিন বদলায় না`, অধিকার আদায়ে পথে নামার পরামর্শ বিচারপতির...
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, `কেউ অধিকার দেয় না, বরং অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়। সামান্য কিছু কাজ হয়। কিন্তু গত ৭৫ বছরে যা হওয়া উচিত ছিল, তার তো কিছুই হয়নি। একদল মানুষ বসে থাকে আমলা সেজে, রাজনৈতিক নেতারা ততটা নন। কারণ, তাঁদের ভোটে জিতে ফিরে আসতে হয়`। তাঁর আক্ষেপ,`যুবক বয়স পর্যন্ত ভাবিনি পাওয়া অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে`।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: কলকাতায় রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, 'সঙ্গত অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। আবেদন, নিবেদন অনেক হয়েছে। প্রতিবাদে পথে যেতে হবে। রাস্তাই রাস্তা দেখাবে'।
আরও পড়ুন: Assembly Election Results 2023: 'মমতা-ই মডেল! ভুল করে ডুবল কংগ্রেস'
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, 'কেউ অধিকার দেয় না, বরং অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়। সামান্য কিছু কাজ হয়। কিন্তু গত ৭৫ বছরে যা হওয়া উচিত ছিল, তার তো কিছুই হয়নি। একদল মানুষ বসে থাকে আমলা সেজে, রাজনৈতিক নেতারা ততটা নন। কারণ, তাঁদের ভোটে জিতে ফিরে আসতে হয়'। তাঁর আক্ষেপ,'যুবক বয়স পর্যন্ত ভাবিনি পাওয়া অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে'।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি সংক্রান্ত মামলায় এখন অবশ্য তাঁর এজলাসে নেই। তবে অন্যন্য মামলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর রায় গিয়েছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি জানি, নতুন আইনে যে রুল করা দরকার, সেটা হয়নি। কিছু রুল এখনই দরকার। অধিকার কেউ হাতে তুলে দেবে না। যেকোনও সময়ে শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে, সেটা ভেবেই এগোতে হবে। সারা দেশে ভোট হয়। রং বদলায়, দিন বদলায় না'।
এদিকে স্রেফ 'ভূয়সী প্রশংসা'-ই নয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে দেখতে চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর সাফ কথা, ‘আমি চাইব, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে একটা নির্বাচন হোক। সেই নির্বাচন হলে আমি কায়মনোবাক্যে ওই মানুষটিকে ভোট দিতে লাইনের সবচেয়ে আগে দাঁড়াব। বাংলার মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করছে। ভরসা করছে'। তাঁরও আরও বক্তব্য, ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষেরা রাজনীতিতে এলে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে'।
শনিবার মুর্শিবাদ জেলা জেলা সফরে গিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি ভেবে দেখছি। গতকাল বহরমপুরে গিয়েছিলাম। ওনার জায়গায় স্বাগত জানানোর জন্য হাল্কা চালে ইয়ার্কি করেছেন। আমায় পছন্দ করেন, ভালোবাসেন'।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'উনি যখন রাজনৈতিক বক্তৃতাই দেবেন, টুলের উপর দাঁড়িয়ে দিক। দেখতে ভালো লাগবে। উনি যে রাজনীতি করেন, এটা সবাই জানে। কিন্তু উনি বলেছিলেন, আমি টুলের উপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেব। গাড়িতে সব সময়ই যেন একটা টুল রাখেন, যখন বক্তৃতা-বক্তৃতা ভাব আসবে, গাড়ি থেকে টুলটা নামাবেন, বক্তৃতা শুরু'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)