Justice Abhijit Ganguly: `তদন্ত সারদার মতো হতে দেওয়া যাবে না`, বিচারপতির নিশানা ইডি-সিবিআই!
আলিপুরদুয়ারে একটি মহিলা ঋণদান সমিতিতে ৫০ কোটি টাকারও বেশি `দুর্নীতি`। `১৮ অক্টোবর তদন্তে অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে`, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'তদন্ত সারদার মতো হতে দেওয়া যাবে না'। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ফের ইডি-সিবিআই-কে নিশানা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, '১৮ অক্টোবর তদন্তে অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে'।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির হিসেব তলব হাইকোর্টের, দিল্লিতে মুখ খুললেন অভিষেক
ঘটনাটি ঠিক কী? আলিপুরদুয়ারে একটি মহিলা ঋণদান সমিতিতে ৫০ কোটি টাকারও বেশি 'দুর্নীতি'। সিবিআই ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এখনও নথি দেয়নি সিআইডি। উল্টে হাইকোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্য। স্রেফ আর্জি করা নয়, আবেদনকারীকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি। এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চ।
আর্থিক দুর্নীতির মামলায় রাজ্য জরিমানা নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সিবিআই ও ইডি-কে তদন্ত নির্দেশ অবশ্য় বহাল রয়েছেন। এদিন শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সিবিআই ও ইডি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত অভিযুক্তের গ্রেফতার করবে। মামলার তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে ভাল ফলের আশা করতেই পারেন। কালপ্রিট যে কাউকে কিনতে পারে, তদন্ত সারদার মতো হতে দেওয়া যাবে না'।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'দুর্নীতি ওখানে হয়েছে এবং সেটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে আর্থিক লেনদেন থাকবে, সরকারের সামান্যতম ছোঁয়া থাকবে, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস অনুরাধের ছোঁয়া দিয়ে দেবে। রাজ্যে এত আর্থিক তছরুপে ঘটনা আছে, যে তদন্ত করার মতো ইডি-সিবিআইয়ের আর অফিসার নেই'।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, 'চিটফান্ড কাণ্ডে আজ পর্যন্ত চার্জশিট জমা পড়ল না। ফলে উষ্মাটা স্বাভাবিক, সন্দেহটা স্বাভাবিক। তদন্তকারী সংস্থাকেই কাজের মধ্যে দিয়ে দেখাতে হবে'। সঙ্গে কটাক্ষ, রাজ্যে যেখানেই ঢিল মারবেন, দুর্নীতির গন্ধ পাবেন। টাকা-পয়সা লুঠ ছাড়া তো কোনও কারবার নেই। তলার লোককে দোষ কি লাভ কি? যতবড় নেতা, তত বড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত'।
আরও পড়ুন: Duare Dalil: জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের, এবার 'দুয়ারে দলিল'
'কলকাতা পুলিস ও রাজ্য পুলিসের উপরে ভরসা কেন থাকবে না'? পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, 'আমরা জানি, স্টেপ বাই স্টেপ হয়। যেকেউ সিবিআই-ইডি চাইছে, কেন আস্থা থাকবে না, বা কেন সুযোগ দেওয়া হবে না। কাজ তো তারা করবে। তদন্ত তারাও করতে পারে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)