ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ভাবনা বিচারপতি গাঙ্গুলির
চিকিৎসার জন্য সোমা দাসের ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। চাকরি না পেলে কীভাবে চিকিৎসা হবে? স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবকে নির্দেশ বিচারপতি গাঙ্গুলির
নিজস্ব প্রতিবেদন : গাঁধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনকারী ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবকে বিবেচনা করে দেখতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করারও অনুরোধ করেন বিচারপতি।
চিকিৎসার জন্য সোমা দাসের ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। চাকরি না পেলে কীভাবে চিকিৎসা হবে? সেই সমস্যা আশু সমাধানে ৭ দিনের মধ্যে সোমা দাসের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। প্রয়োজনে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথি খতিয়ে দেখবেন স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান এবং স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবের হলফনামা তলব করেছে আদালত। ২ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা তলব আদালতের।
মেধাতালিকায় নীচের দিকে থাকা ব্যক্তিরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগ কতটা ঠিক, তা খতিয়ে দেখে উত্তর দেবে দুই কতৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ব্লাড ক্যানসারের রোগী সোমা দাস বীরভূমের বাসিন্দা। প্রার্থীর অবস্থা দেখে বিচারপতি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, অন্য কোনও চাকরির নিতে ইচ্ছুক কিনা! আদালতের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ওই তরুণী। তিনি পাল্টা জানান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের মনে আশা জাগিয়েছেন। লড়াই তাঁরা করবেন। তিনি যোগ্য প্রার্থী। তিনি শিক্ষকতাই করবেন। অন্য কিছু নয়।
এদিন আদালতে সোমা দাস জানান যে, "২৮ মার্চ, ২০১৯ সালের প্রেস ক্লাবের সামনে যখন ধরনা চলছিল, তখন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। আন্দোলনকারীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের থেকে ৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছিল। এই ৫ জন আন্দোলনকারী, সরকার পক্ষের ৫ জনের সঙ্গে বৈঠক করে। এই ৫ জন আন্দোলনকারী হলেন হাফিজুল গাজী, ইনসান আলী, তানিয়া শেঠ, রাকেশ প্রামাণিক, অর্পিতা পারভিন। পরে দেখা যায়, এই ৫ জন এবং তাঁদের বেশ কয়েকজন পরিজন চাকরি পেয়েছেন। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অলোক কুমার সরকার,তাপস পাঁজা, সুকান্ত আচার্য, এবং পি.কে. ব্যানার্জি এই ৫ জন বৈঠক করেছিলেন।"
আরও পড়ুন, শান্তিনিকেতন, পিংলা সহ রাজ্যে ৫ ধর্ষণ মামলায় CBI তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা