মৌমিতা চক্রবর্তী:  শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের খিদিরপুর ডক নতুনভাবে সাজতে চলেছে। এবার নয়া টার্মিনাল বানাচ্ছে বন্দর। খিদিরপুর ডকে জাহাজ ঢোকা-বেরনোর জন্য নির্ভর করতে হয় জোয়ার-ভাটার উপর। জোয়ার না হলে জাহাজ ঢোকা-বেরনো হয় না। কারণ নদীর জলের স্রোতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লকগেট। আর এই 
লকগেট দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় খিদিরপুর ডকের ওয়াটার চ্যানেল। তাই বর্তমানে খিদিরপুর ডকে জাহাজ ঢোকা-বেরনোয় অনেক সময় লাগে। লকগেটের কারণে সময় লাগে কমপক্ষে দুই ঘন্টা। নতুন টার্মিনাল তৈরি হলে এই সমস্য়ার সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, বিপর্যয় বাড়াচ্ছে বিপুল খরচ, বারতি টাকা চেয়ে রেল মন্ত্রকের দ্বারস্থ কেএমআরসিএল


খিদিরপুরে হুগলি নদীর উপরেই তৈরি হচ্ছে এই টার্মিনাল এবং আধুনিক মানের এই টার্মিনাল বানাতে তৈরি হচ্ছে DPR। ফলে এবার রেল পথেও পণ্য আনা যাবে সেখানে। সেই সঙ্গে থাকছে অত্যাধুনিক একাধিক ক্রেন। ফলে অতি সহজেই লোডিং-আনলোডিং হয়ে যাবে। সময় তো কম লাগবেই, উপরি পাওনা হিসাবে বাড়বে জাহাজের আসা যাওয়া। ফলে আখেরে লাভ হবে বন্দরেরই। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে মিলেছে পরিবেশগত্র ছাড়পত্র। ফলে বিশ্বমানের একটা কন্টেনার টার্মিনাল তৈরি করতে চলেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর।


অন্যদিকে, বন্দরের অব্যবহৃত জমি হলদিয়া থেকে ফারাক্কা পর্যটনের কাজে ব্যবহার করা হবে। আপাতত নূরপুর ও মোয়াপুরের জমি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হবে। নদীর ধারের ৩৪ একর জমিতে হোটেল বা রিসর্ট কাঠামো তৈরি করে দেবে বন্দর। সেই অংশ লিজেও দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর সূত্রে খবর, আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলে আর্থিক দিক থেকে লাভ হচ্ছে দেশের প্রাচীন এই নদীবন্দরের। বর্তমানে খিদিরপুর ডকের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণে খিদিরপুর ডকের আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: ভাইফোঁটায় নেতা নয়, ঘরোয়া অভিষেককে চিনুন?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)