নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের জমি ফেরত পেতেই কালঘাম ছুটছে পুরসভার। শুধু তাই নয় নিজের জমি নিজের বাগে আনতে খরচা করতে হচ্ছে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে। ঘাটে জল ফেলার পরিসর বাড়ানোর জন্য জমি খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় পুরসভাকে। সালটা ২০১৪। সে সময় ওই জমিতে চাষাবাদ করার কোনওরকম কাগজপত্র বা দলিল না থাকায় চাষীদেরকে ওখান থেকে উঠাতে কাটা প্রতি ৪৫ হাজার টাকা করে প্রায় ১০০ জন চাষিকে দিতে হয়। এরপর ২০১৬ সালে মেট্রোর জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে আবারও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সেই সময় জমি অধিগ্রহণের জন্য বেশ কয়েকজন চাষিকে ৫৬ হাজার টাকা করে দেয় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপর এত বছরেও টনক নড়েনি কলকাতা পুরসভার। ছবিটা বদলাইনি এতটুকু। ভাঁড়ারে টানাটানি। এদিকে এবারও নিজেদের জমি ফেরত পেতে গিয়ে পুরসভাকে খরচা করতে হবে বেশ কয়েক কোটি টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কী কাজের জন্য জমি প্রয়োজন পড়ছে পুরসভার?


ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগ্রিগেশন পদ্ধতি চালু করা হবে। তাতে রাজ্যের সমস্ত আবজর্না তুলে একটি ছত্রছায়ায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এজন্য কম করে ১ লাখ স্কোয়্যার ফিট জায়গা প্রয়োজন। এছাড়া আরও কয়েকটি ছোটখাট কাজের জন্য প্রয়োজন হবে আরও বেশ কিছুটা জায়গা। এদিকে ধাপার জমি নিজেদের হওয়া সত্ত্বেও সেই জমিতে কার কী বৃতান্ত, তা খুঁজে বের করে কাকে কত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই সব হিসেব নিকেশ করতেই কার্যত কালঘাম ছুটে যাচ্ছে কলকাতা পুরসভার।


আরও পড়ুন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সবাই পাচ্ছেন? বিডিওদের ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজ নিতে নির্দেশ নবান্নের


নিজেদের জমিতে সহজেই দ্রুততার সাথে বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে ফেলা যেত। কিন্তু বাদ সাধছে এই প্রাথমিক পরিকল্পনা। কারণ প্রথমে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। তারপরই এই ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব। তাই নিয়েই এখন প্রবল ব্যস্ত কলকাতার পুরো আধিকারিকরা। জোর কদমে চলছে জমি পরিমাপের কাজ। তবে পুরসভার দাবি, এটাকে জমি কেনার টাকা না ধরে বরং এটা ভাবা ভালো যে এত বছর ধরে যারা বসে রয়েছেন, তাঁদেরকে আমরা অন্য কিছু করার জন্য একটা অর্থ সাহায্য দিচ্ছি। ধাপায় নিজেদের জমি থাকা সত্ত্বেও তার জন্য এই মোটা অঙ্কের টাকা খরচ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।