নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ভোট পরবর্তী অশান্তি' মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে সিট গঠনের নির্দেশ। খুন, ধর্ষণ, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তে সিবিআই। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করবে সিট। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। ছ'সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে কলকাতার পুলিস কমিশনার সৌমেন মিত্র, সুমন বালা সাহু, রণবীর কুমার, ৩ আইপিএসকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে ওই সিট। বৃহস্পতিবার রায়দানের সময় বিচারপতি জানান, " আর কোনও অভিযোগ থাকলে ডিভিশন বেঞ্চে জানাতে হবে। নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হবে। রাজ্য সরকারকে শীঘ্রই ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।" এই রায় নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত। এটাই আমরা চেয়েছিলাম। এটাই বাংলার বাস্তব পরিস্থিতি। ভারতের আদালতের উপর বিশ্বাস রয়েছে। যাঁরা দোষী, তাঁরা শাস্তি পাবে। পুলিসের সামনে গাড়ি ভেঙেছে, আমাদের মেরেছে, বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। কোর্ট একে মান্যতা দিয়েছে।" তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় বলেন, "হাইকোর্ট যখন রায় দিয়েছে মানতে হবে। তবে সিবিআইকে তদন্ত করতে বলা মানে, রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা। রাজ্য না মানলে, ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে বা সাংবিধানিক বেঞ্চে যেতে পারে বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। আমার বিশ্বাস রাজ্য সরকার সব ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে।"


কুণাল ঘোষ বলেন, "হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধিতা করা যায় না। ওঁরা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নির্দেশ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। সম্ভাব্য আইনি দিকগুলি বিবেচিত হবে। আমরা মনে করি NHRC-র রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে হাইকোর্ট নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করছি না।"


আরও পড়ুন: BJP: 'দিদিকে ভরসা করলে কপালে তালিবানের গুলি', Dilip Ghosh-এর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক


২ মে একুশের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর হামলার অভিযোগ সরব হয় বিজেপি। ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়৷ পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়৷ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদারকে নিয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ৷ আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সাত সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠিত হয়৷ রাজ্যে এসে ভোট পরবর্তী অশান্তির বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই দল।



আরও পড়ুন: Mamata: প্রথম বৈঠকেই 'টাফ' মুখ্যমন্ত্রী, তোপের মুখে ৩ মন্ত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রী


এরপর কলাকাত হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা৷ সেই রিপোর্টে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করা হয় এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একাধিক মন্ত্রী-সহ শাসক দলের নেতাদেরও অভিযুক্ত করা হয়৷ কমিটির রিপোর্টকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তোপ দাগে রাজ্য়।