ওয়েব ডেস্ক : গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা থেকে জেলা-সর্বত্রই সাধারণ মানুষের একই অভিযোগ। দক্ষিণ কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে সমস্যা চরমে। উত্‍সবের মরসুমে নাভিশ্বাস ছাপোষা গেরস্থের। উত্‍সবের মরসুমে হেঁসেলে আগুন নেভার জোগাড়। মিলছে না গ্যাস। পুজোর আগে থেকে শুরু হয়েছে সমস্যা। চলছে এখনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সামনেই কালীপুজো, ভাইফোঁটা। রান্নার গ্যাসের চাহিদা প্রচুর। কিন্তু, মিলছে কই! সমস্যা গোটা রাজ্যেই। তবে, দক্ষিণ কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে নিদারুণ অবস্থা। রাজ্যে ইন্ডেনের গ্রাহক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ইন্ডিয়ান অয়েলের বজবজ বটলিং প্ল্যান্টে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে উত্‍পাদন ব্যাহত হওয়ায় ভুগছেন দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রাহকরা।


এদিকে, ঠিকাদার সংস্থার হাতে বজবজ বটলিং প্ল্যান্ট চালানোর দায়িত্ব রয়েছে। তিন বছর অন্তর ঠিকাদার সংস্থা বদল করে ইন্ডিয়ান অয়েল। এ বছর নতুন ঠিকাদার সংস্থা আসার পর বেতন নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের
সঙ্গে তাদের গণ্ডগোল বাধে। শ্রমিকরা বারবার কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় উত্‍সবের মরসুমে বাড়তি চাহিদা সামাল দেওয়ার মতো উত্‍পাদন হচ্ছে না। বজবজ বটলিং প্ল্যান্ট থেকে পর্যাপ্ত সিলিন্ডার না বেরনোয় গ্রাহকদের বাড়িতে সময়মতো গ্যাস পৌঁছচ্ছে না।


আরও পড়ুন- ফের প্রকাশ্যে গুলি চলল তিলজলায়


কল্যাণীর বটলিং প্ল্যান্ট থেকে সিলিন্ডার এনেও চাহিদা সামাল দিতে পারছে না ইন্ডেন। যে সব পরিবারে দুটি সংস্থার কানেকশন রয়েছে তারা ইন্ডেনের গ্যাস না পেয়ে HP-র বুকিং বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে পারছে না HP. আরও ঘোরালো হচ্ছে সমস্যা। যদিও, ইন্ডেন ডিলারদের আশ্বাস, বটলিং প্ল্যান্টের সমস্যা মিটছে। খুব তাড়াতাড়ি আগের মতোই বুকিংয়ের দু-তিনদিনের মধ্যেই গ্যাস পাবেন
গ্রাহকরা।


উত্‍সবের মরসুমে সবাই ছুটির আমেজে থাকায় কমবেশি রাজ্যের সব জায়গাতেই গ্যাস সিলিন্ডারের যোগানে সমস্যা রয়েছে। যদিও, উত্‍পাদনের ঘাটতিই গ্রাহকদের মাথাব্যথার একমাত্র কারণ নয়। চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় রান্নার গ্যাসের কালোবাজারি বাড়ছে বলে অভিযোগ। নিরুপায় হয়ে অনেকেই দ্বিগুণ দামে সিলিন্ডার নিতে বাধ্য হচ্ছেন।


ডেলিভারি ম্যানেদের জুলুমবাজিতেও অতিষ্ঠ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের খেয়াল-খুশিমতো বাড়তি টাকা দিতে রাজি না হলে ওই বাড়িতে তাঁরা সময়মতো গ্যাস দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। ১৪ কেজির সাধারণ সিলিন্ডার থেকে বেআইনিভাবে গ্যাস বের করে নেওয়ার অভিযোগও ভুরিভুরি। চুরি করা রান্নার গ্যাসে ভরা হচ্ছে পোর্টেবল সিলিন্ডার। অনেক ক্ষেত্রে চুরির গ্যাস জোগান দিচ্ছে অটোর জ্বালানি।সব মিলিয়ে রান্নার গ্যাস নিয়ে নাভিশ্বাস আম-জনতার। শহর কলকাতা থেকে জেলা। ছবিটা সর্বত্র কমবেশি একইরকম।