হাইকোর্টের নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি ভারতী ঘোষের স্বামীর
প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে ২ ফেব্রুয়ারি ভারতী ঘোষের কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, সোনারপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। তল্লাশি চালানো হয় কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির নাকতলায় ভারতী ঘোষের স্বামীর বাড়িতেও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আদালতের রায়ে সাময়িক স্বস্তিতে ভারতী ঘোষের স্বামী। প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের স্বামী এমভি রাজুর গ্রেফতারির উপর আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন রাজু। এদিন সেই আবেদনের শুনানিতেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ গ্রেফতারির উপর আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল।
এদিন হাইকোর্টে এমভি রাজুর আইনজীবী বলেন, দাসপুর থানায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে ভারতী ঘোষের নাম থাকলেও তাঁর মক্কেল এমভি রাজুর নাম নেই। কিন্তু তারপরেও এমভি রাজুর নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ করেন এমভি রাজুর আইনজীবী। দাবি করেন, ভারতী ঘোষের কাজকর্মের সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও যোগ নেই। কিন্তু তারপরেও যেকোনও মুহূর্তে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এমভি রাজুর আইনজীবী।
ভারতী ঘোষের স্বামীর আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় সিআইডিকে। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও, পরোয়ানা ছাড়াই এভাবে একজনের বাড়ি তল্লাশি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি বাগচি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বাড়িতে টাকা থাকতেই পারে। তাই আয়ের সব উত্স যাচাই না করে, কোনওভাবেই নিশ্চিত করে বলা যায় না যে, ওই টাকার উৎস অবৈধ।
এরপরই ভারতী ঘোষের স্বামী এমভি রাজুর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। ১৫ মার্চ পর্যন্ত কোনওভাবেই রাজুকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি সিআইডিকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য এমভি রাজুকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে একদিন করে থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, এই সময়কালের মধ্যে তাঁর নেতাজিনগর থানার বাইরে যাওয়া চলবে না। একইসঙ্গে পাসপোর্ট জমা রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে ২ ফেব্রুয়ারি ভারতী ঘোষের কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, সোনারপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। ভারতীর বিরুদ্ধে তোলাবাজি, প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তল্লাশি চালানো হয় কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির নাকতলায় ভারতী ঘোষের স্বামীর বাড়িতেও। এরপরই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন এমভি রাজু। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।