ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা
ভারতীর বিরুদ্ধে হুমকি, তোলাবাজি, প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন মাজি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে জারি করা হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। কেশপুরের স্বর্ণব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রাক্তন আইপিএসের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশিও। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ভারতী ঘোষের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী সুজিত মণ্ডলেরও বিরুদ্ধও।
ভারতীর বিরুদ্ধে হুমকি, তোলাবাজি, প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন মাজি। আদালতে মামলা দায়েরের পরই নড়েচড়ে বসে সিআইডি। শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি একযোগে ভারতী ঘোষের কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, সোনারপুরের বাড়িতে তল্লাসি চালানো হয়। তল্লাশি চালানো হয় নাকতলায় ভারতী ঘোষের স্বামীর বাড়িতেও। দিনভর তল্লাসিতে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে নগদ, সোনা ও সম্পত্তির নথি।
এরপরই ভারতী ঘোষকে ভবানী ভবনে তলব করে নোটিস পাঠায় সিআইডি। তবে সেই নোটিসের কোনও উত্তর দেননি প্রাক্তন আইপিএস। এরপর সোমবার সকালে ভারতীর বাড়ি গিয়ে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস ধরায় সিআইডি। কিন্তু সেই নোটিসের উত্তর না দেওয়াতেই এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। তলব করা হয়েছে ভারতী ঘোষের স্বামীকেও।
আরও পড়ুন, ভারতীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার ৫৭ বোতল মদ
অন্যদিকে, ভারতী ঘোষ ঘনিষ্ঠ দুই পুলিস অফিসার চিত্ত পাল ও শুভঙ্কর দে-কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। চিত্তপাল ঘাটাল থানার ওসি ছিলেন। পরে তিনি ডেবরা থানা হয়ে, শেষমেশ কেশিয়ারি থানার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। শুভঙ্কর দে ছিলেন ঘাটাল সার্কেলের ইন্সপেক্টর। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার ৪০ লক্ষ টাকা। সিআইডি-র দাবি পুরোটাই হিসাব বহির্ভুত টাকা।