নিজস্ব প্রতিবেদন : গর্ভপাত মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ হাইকোর্টের। ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মেডিক্যাল টেস্টের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার হবে পরীক্ষা। সোমবার বেরোবে রিপোর্ট। তারপরই রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভ্রূণের বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। তার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক নিয়মে তৈরি হচ্ছে না। তাই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতের কড়া নেড়েছেন দম্পতি। সেই মামলার শুনানিতে এদিন অন্তবর্তী নির্দেশ দিল কলকাতা। শনিবারই রাজ্যের বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড আবেদনকারীর মেডিক্যাল টেস্ট করবে। সোমবার সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট।


আরও পড়ুন, বিক্ষোভের জেরে কলকাতায় বন্ধ হল 'দ্যা অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার'-এর শো


এমন আবেদন নিয়ে আগেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকে। সেই সওয়াল-জবাবে তত্কালীন সলিসিটর জেনারেল জানান, এমন ক্ষেত্রে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মা-ই অগ্রাধিকার পাবেন। এমন ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য প্রত্যেক জেলায় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড থাকা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৭-র অগস্টে এ রাজ্যেও মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হয়।  


গর্ভপাত নিয়ে দেশের আইন বলে, গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের মধ্যে একাধিক কারণ দেখিয়ে গর্ভপাত করানো যায়। কারণগুলি যথাক্রমে-


১. গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণে যদি মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় বা প্রাণের ঝুঁকি থাকে তাহলে গর্ভপাত করানো আইনসিদ্ধ।
২.  ভ্রূণের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি যদি স্বাভাবিক না হয়,  সেক্ষেত্রেও গর্ভপাত করানো যায়।
৩. ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কোনও মহিলাও আইনত গর্ভপাত করাতে পারেন।
৪. কোনও দম্পতির ক্ষেত্রে যদি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করার পরেও মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হন, সেক্ষেত্রে গর্ভপাত সম্ভব।


গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর গর্ভপাত করা ভারতের আইন অনুসারে নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে ২০ সপ্তাহ পেরনোর পরই  ভ্রূণের অস্বাভাবিকতার কথা জানতে পেরেছে দম্পতি। বিশেষ আর্জি নিয়ে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে দম্পতি। সন্তানকে আজীবন যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দিতে হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় দম্পতি।