পিয়ালি মিত্র: সহকর্মীদের লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন কলকাতা জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত জওয়ান অক্ষয় কুমার মিশ্র। তাঁর নির্বিচার গুলিতে মারা গিয়েছেন রঞ্জিত কুমার সারোঙ্গি।  একে ৪৭ এর ৩টি বুলেট তাঁর  শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। এমনটাই উঠে এল ময়না তদন্তের রিপোর্ট।  একটি বুলেট লেগেছে মুখের ডান দিকে, দ্বিতীয়টি বাম হাতে এবং তৃয়টি লেগেছিল তার বুকে। শরীরের একাধিক জায়গায় হাড় ভেঙে গিয়েছে। বহু জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। রবিবার ময়না তদন্তের রিপোর্টের পাশাপাশি তদন্তে উঠে আসে আরও বেশকিছু তথ্য। জেরার উঠে এসেছে ইউনিটের অস্ত্রাগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অক্ষয়কে। এতে তার মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তাঁর ধারনা ছিল ওই ঝামেলার কাজ দিয়ে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর আরও দাবি তাঁর ঘুমানোর ছবি তুলে তাঁকে রাগানো হতো। এমনকি এমনও জানা গিয়েছে স্ত্রীকে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জাদুঘরে নির্বিচার গুলি, সিআইএসএফ জওয়ানের টার্গেটে ছিলেন আরও ৩ জন 


এদিকে আজ অভিযুক্ত অক্ষয় মিশ্রকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাঁকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অক্ষয়কে জিজ্ঞাসবাদ করে রঞ্জিত সারেঙ্গি ছাড়াও অক্ষয়ের টার্গেটে ছিল তার আরও ৩ সহকর্মী। ধৃতকে জেরা করছেন খোদ কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা, ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার ও হোমিসাইড শাখার অফিসাররা।


কোন অসন্তোষ থেকে এমন মারাত্মক ঘটনা? তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত অক্ষয়ের দাবি মতো তাকে উত্যক্ত করা হোত। তাঁর ঘুমানোর ছবি তুলে উপরতলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও উত্যক্ত করা হতো বলে তার দাবি। তবে এইসব দাবি কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 


তদন্তে উঠে এসেছে গত ২৬ এপ্রিল অক্ষয়ের বাবার মৃত্যু হয়েছে। তার পর তাকে ২৫ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পরে আরও ১০ দিন নিজের ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছিল অক্ষয়। সেইসময় তিনি ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে। সেখান থেকেই তাঁর ডিউটি পড়ে কলকাতা জাদুঘরে।


উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ কলকাতা জাদুঘরে এক সিআইএসএফ জওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালিয়ে দেয় সিআইএসএফ অক্ষয় সারেঙ্গি। প্রথমে টার্গেট করেন অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষকে কিন্তু সামনে চলে আসেন রঞ্জিত সারেঙ্গি। তিনটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে।  পাশাপাশি গুলি লাগে সুবীর ঘোষের শরীরেও। কমপক্ষে ১৫ রাউন্ড গুলি চালায় অক্ষয় কুমার মিশ্র। গুলির পরই সে একটি ঘরে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। পরে কমান্ডো নামিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)