নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাত্র আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। স্বচ্ছ ছাত্র সংসদেরর নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, অবস্থান চলাকালীন সুগম দাস ও শুভদীপ সর্দার নামে দুজন টিএমসিপির সদস্য শ্লোগানরত এক ছাত্রকে মারধর করে চশমার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম সেই ছাত্র। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষের ঘরের সামনে আবস্থানে বসেছেন প্রায় ৮০জন পড়ুয়া। তাঁদের দাবি নিয়ম মেনে নির্বাচন পরিচালন কমিটির বৈঠক হোক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: চুঁচুড়ায় ঠাকুমাকে খুন করে ফেসবুক লাইভ নাতির, বদ্ধ ঘর থেকে শেষেমেশ উদ্ধার করল নাতি


খবর অনুযায়ী, দু'বছরেরও বেশি সময় পর আগামী ১৪ জুন অবশেষে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে গত সোমবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ। তবে এ বিষয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ, ছাত্র সংগঠনের কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনকী বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না তাঁরা কেউ। আর তাতেই নির্বাচন নিয়ে বেঁকে বসেছে পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ নিয়ম না মেনেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 



মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া অনিকেত চ্যাটার্জির কথায়,  কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শেষ ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয় ২০১৬-তে। তারপর গত দু বছর ধরে  MCDSA-এর তরফে অসংখ্যবার ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জানালেও কোনও কাজ হয়নি। অথচ হঠাৎই সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে কোনও অফিসিয়াল ইলেকশন কন্ডাকশন কমিটির বৈঠক ছাড়াই মাত্র এক সপ্তাহের নোটিসে নির্বাচন করাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। বিধি মেনে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ১৪ দিন পর নির্বাচন হওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে ১৪ জুন নির্বাচনের দিন ঠিক করার আগে সেটা মানা হয়নি। তাছাড়াও এই সময়ে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সেমেস্টার চলবে। জুলাইয়ে প্রথম বর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। জুনের মাঝামাঝি থেকে তাঁদেরও স্টাডি লিভ শুরু হবে। এমন সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা মানে, পড়ুয়াদের অংশ গ্রহণ কম হওয়া। এবিষয়ে ছাত্রদের বক্তব্য, কোনও নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।