Detectives of Supernatural: রাইটার্স বিল্ডিং, ন্যাশনাল লাইব্রেরি সত্যিই ভূতের আড্ডা নাকি? কী বলছেন ভূতের গোয়েন্দারা?
Rise Above Fear Campaign: প্রয়াত প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলা সাহিত্যের দরবারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতা কি ভূতের শহর? লালবাজারে নাকি ভূত গিজগিজ করছে! পুরনো রাইটার্স বিল্ডিংয়ে আজও নাকি সাহেবের ছায়া দেখা যায়? ১ গার্স্টিন প্লেস-এ অল ইন্ডিয়া রেডিও-র প্রথম ভবনেও নাকি ভূতের আড্ডা! একই ছবি ন্যাশনাল লাইব্রেরিতেও?
আরও পড়ুন: Cuddling: উষ্ণ আলিঙ্গন শুধু মুগ্ধ যৌনতার গৌরচন্দ্রিকাই নয়! 'কাডলিং' শরীর-মনের বিস্ময়কর উপকার করে...
হ্যাঁ, তা গল্পে-কাহিনিতে, মিথে-কল্পনায় কলকাতার ভূতের গল্প তার বহু শাখাপ্রাশাখা বিস্তার করেছে। ১৯৩৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ১ গার্স্টিন প্লেস-এ অল ইন্ডিয়া রেডিও-র প্রথম ভবন। সেখানে রাতে সিঁড়ি বেয়ে প্রায় গড়িয়ে পড়লেন এক সিকিউরিটি কর্মী। এক বুড়োকে দেখে ভয়ে পালাচ্ছেন তিনি। এই ভবন সম্ভবত কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত ভুতুড়ে বাড়ি। আজ যে বাড়ির চিহ্নমাত্র নেই। এই বাড়িতেই ১৯২৭ সালে বাংলায় জন্ম নেয় রেডিও সম্প্রচার ব্যবস্থা, প্রযত্নে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি, ১৯৩৬ সালে নাম পালটে অল ইন্ডিয়া রেডিও।
কলকাতার ইতিহাস যা বলে, পরে যে জমি হয় ১, গার্স্টিন প্লেস, সেখানে একদা ছিল সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের ভাণ্ডার, রীতিমতো বড়সড় এক গোরস্থান। ১৭০৫ থেকে ১৭০৭-এর মধ্যে কলকাতায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপে মারা যান ৪৫০-র বেশি ইংরেজ নাগরিক, যাঁদের সকলেরই নাকি অন্তিম ঠাঁই হয় এখানে। এঁদের মধ্যে থেকেই কি জন্ম নেয় গার্স্টিন প্লেস-এর ভূতের দল?
রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণেও নাকি ভূতের আড্ডা। ১৭৭৬ সালে রাইটার্স বিল্ডিং ছিল গোটা কুড়ি ছোট ছোট পাকা ঘর, যা ১৮৭৭ থেকে ১৮৮২-র মধ্যে হয়ে দাঁড়ায় পাঁচটি বিশাল ভবন। এ সবের অনেক আগে, ১৭০৯ সালে এখানে ছিল মাত্র চারটি খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘর। তারও আগে কিছুকাল এই জমিও ব্যবহৃত হয় গোরস্থান হিসেবে, যেখানে সমাধিস্থ করা হত করণিকদের!
ভূত আছে নাকি আলিপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরি ভবনেও! সাদা পোশাকে কোনও নারীমূর্তি নাকি এখানে বই গুছিয়ে রাখে, ভুতুড়ে ঘোড়ার খুরের শব্দও নাকি মেলে এখানে!
বিশাল এই বাড়ির ইতিহাস জানলে এইসব কাহিনিতে অবাক হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন West Bengal Weather Update: শীত পুরোপুরি শেষ! আসছে অস্বস্তির গ্রীষ্ম, প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা...
প্রসঙ্গত, কলকাতার ভূত-মিথ ভাঙার জন্য ভূতের গোয়েন্দাদের সঙ্গে অনেকদিন আগেই হাত মিলিয়েছে কলকাতা পুলিস। আশা করা যায়, এই গার্স্টিন প্লেস, মহাকরণ, ন্যাশনাল লাইব্রেরির মতো ভবনের থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবে রহস্য়ের পরত। কেননা, তারা মিলিত ভাবে 'রাইস অ্যাবভ ফিয়ার' নামের একটা ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। দেখা যাক, এতে ভূত-রহস্য কতদূর সমাধান হয়?