নিজস্ব প্রতিবেদন: ম্যারাথন জেরায় অবশেষে ভেঙ্গে পড়লেন নিউ টাউনের আইনজীবী রজত দে-র স্ত্রী অনিন্দিতা দে। জেরায় প্রাথমিকভাবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। প্রথমত, খুনই করা হয়েছে রজত দে-কে। দ্বিতীয়ত, খুনে প্রত্যক্ষভাবে তিনি যে জড়িত তা পুলিসের কাছে কবুল করে নিয়েছেন অনিন্দিতা। ওই স্বীকারোক্তির পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জাতপাতে বীতশ্রদ্ধ, এবারে কোনও দলকেই ভোট দেবে না ‘মুকুলের সোনার কেল্লা’


পুলিস জানিয়েছে, জেরায় অনিন্দিতা স্বীকার করেছে সে খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তার সঙ্গে বাইরের কেউ জড়িত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। কারণ ওই বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আজ অনিন্দিতাকে আদালতে তুলে পুলিস হেফাজত চাওয়া হবে। তারপর বিস্তারিত জেরা করা হবে।


অনিন্দিতার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে বহু তথ্য উধাও। মোবাইল থেকেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককিছুই। পুলিস অনিন্দিতার মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে।


তদন্তের শুরু থেকেই বারবার বয়ান বদল করছিলেন অনিন্দিতা। কখনও বলছিলেন রজতের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, কখনও বলছিলেন আত্মহত্যাই করেছে রজত। ফলে পুলিসকে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। দফায় দফায় জেরা করা হয় তাকে।


আরও পড়ুন-প্রসেনজিতের সঙ্গে প্রেম ছিল? ইঙ্গিতে কি বোঝাতে চাইলেন ঋতুপর্ণা? 


পুলিস সূত্রে খবর অনিন্দিতার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে ঘটনার দিন দুজনের মধ্যে প্রবল বচসা হয়। বচসার মধ্যেই গলায় বিছানার চাদর জড়িয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন রজত। এর মধ্যেই রজতের গলায় মোবাইল চার্জারের তার জড়িয়ে টেনে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই যুক্তি কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।  


শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ অনিন্দিতাকে নিউটাউন থানায় নিয়ে আসা হয়। তার পর তাঁকে টানা জেরা করা হয়। স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে, ঘটনার সময় তিনি কোথায় ছিলেন তা নিয়ে অনিন্দিতাকে প্রশ্ন করা হয়। অনিন্দিতার বয়ানে একাধিক অসংগতি পাওয়া যায়। এরপরই রাত বারোটা নাগাদ তাকে গ্রেফতার করা হয়।