স্বাস্থ্যভবন তো নয় যেন সাজানো ভবন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীই বলছেন করোনাকে পাশবালিশ করে শুতে, বিমানের বোমা
কেন্দ্রকেও এ দিন একহাত নেন বিমান বসু। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। কেন্দ্র বাণিজ্য ছাড়া কিছুই বোঝেনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিমানের স্টেপ আউট! আমফান দূর্নীতি, করোনা বিতর্ক-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ছক্কা হাঁকালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-মিছিল করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার, বাম নেতা বিমান বসু বলেন, “কোভিড নিয়ে সচেতনতা ক্যাম্পেন ঠিকমতো হয়নি। ১২০ দিন পরও একই অবস্থা। ক্রেতা বিক্রেতারা মাস্ক পড়ছেনা, বাইকে মাস্ক পড়ছেনা। । অদ্ভুত অজুহাত দিচ্ছেন মানুষ।”
বিমানের আরও তোপ, স্বাস্থ্যভবন হচ্ছে একটা সাজানো ভবন। কেউ ফোন ধরে না। কাজ হয় না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। উনি বলছেন করোনাকে পাশবালিশ করে শুতে! তেমনই কেন্দ্রও। করোনার পরিস্থিতি তুলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, এ তো কলির সন্ধ্যে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অতিমারিকে পরাস্ত করতে হবে। কোন কোভিড হাসপাতালে যাবে মানুষ কেউ জানে না। এতগুলো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জায়গা নেই। করোনা স্পেশাল হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ তার ল্যাব কি কাজ করছে? এত বেড, এত ব্যবস্থা কোথায়?
কেন্দ্রকেও এ দিন একহাত নেন বিমান বসু। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। কেন্দ্র বাণিজ্য ছাড়া কিছুই বোঝেনা। ওদের মন্ত্রীরা ব্যবসা করতো তাই ব্যবসা ছাড়া কিছুই বোঝেনা। অমানবিক, অনৈতিক কাজ। রাজ্যের আপত্তি করা উচিত। প্রিভেনটিভ ম্যাটিরিয়েলের ওপর জিএসটি বসানো যাবেনা।”
আরও পড়ুন- মাংস-ভাত বিতর্কের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এবার বদলি জেলার পুলিস সুপার
এদিন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নানের কটাক্ষ, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে অসত্য ভাষণ করেছেন, সে জন্য তাঁর সরকারেরই তাঁকে ‘বঙ্গরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করুক!”