ওয়েব ডেস্ক: বামফ্রন্টের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী ঘোষণার পর জোট নিয়ে জট আরও বাড়ল। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে বারোটি আসনে তাদের সঙ্গে কংগ্রেসের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে। জোটের বড় কারিগর খোদ অধীর চৌধুরীর জেলা মুর্শিদাবাদেই ছটি আসনে থাকছেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। মূলত আরএসপি আসন ছাড়তে রাজি না হওয়ায় মুর্শিদাবাদে সর্বাত্মক জোট হল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান মুখে যা বলছেন তাঁর ঘোষিত প্রার্থী তালিকা কিন্তু তা বলছে না। সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, বড়ঞাঁ, নওদায় কংগ্রেসের পাশাপাশি প্রার্থী দিচ্ছে বামেরাও।
গত বিধানসভা ভোটে সুতিতে আরএসপি-কে সতেরো হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর চেয়ে দেড় হাজার ভোটে এগিয়েছিল তারা।
গত বিধানসভা ভোটে জঙ্গিপুরে সিপিএম-কে ছ-হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। তবে, লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর চেয়ে আট হাজার ভোটে এগিয়েছিল সিপিএম।
গত বিধানসভা ভোটে রঘুনাথগঞ্জে আরএসপি-কে পনেরো হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর চেয়ে তেরোশো ভোটে এগিয়েছিল তারা।
গত বিধানসভা ভোটে সাগরদিঘিতে সিপিএম-কে সাড়ে চার হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় তৃণমূল। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর চেয়ে তেরোশো ভোটে এগিয়েছিল তারা।
গত বিধানসভা ভোটে বড়ঞাঁয় আরএসপি-কে ছশো ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে আরএসপি প্রার্থীর চেয়ে একতিরিশ হাজার ভোটে এগিয়েছিল তারা।
গত বিধানসভা ভোটে নওদায় আরএসপি-কে চোদ্দো হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে আরএসপি-র চেয়ে চল্লিশ হাজার ভোটে এগিয়েছিল তারা।


বাম-কংগ্রেসের জোটে ছোট শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আপত্তি রয়েছে আরএসপি-র। পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে তাদের বাধাতেই অধীরের গড়ে সর্বাত্মক জোট হল না। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে এতদিন লড়াই করে আসা জেলা সিপিএম নেতারাও জঙ্গিপুর-সাগরদিঘির দখল ছাড়তে চাইলেন না। বামেদের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা দেখে ঘনিষ্ঠমহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধীর চৌধুরী। যে যে আসনে রফা হবে না সেখানে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বাম-কংগ্রেস দু-পক্ষই প্রার্থী দেওয়ায়,  


বীরভূমের হাসন, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, পুরুলিয়ার জয়পুর, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ও কলকাতার জোড়াসাঁকো কেন্দ্রেও বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে। ইসলামপুর ও জোড়াসাঁকোয় জেডিইউ এবং আরজেডি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন বিমান বসু। মুর্শিদাবাদের ডোমকল এবং হরিহরপাড়াতেও বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।