নিজস্ব প্রতিবেদন: ৪২-এ ৪২টি আসনের টার্গেট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই টার্গেটের ধারেকাছে যেতে পারেনি তৃণমূল। উল্টে শাসক দলকে জোর ধাক্কা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনে এমন আশাহত ফলের পর আজ কালীঘাটে বৈঠক বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। ওই বৈঠকে থাকবেন জেলা সভাপতি থেকে দলের শীর্ষ নেতারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেরুকরণ, নেতাদের ঔদ্ধত্য না দুর্নীতি-  হারের কারণ কী? ২০২১ সালের আগে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। এমতাবস্থায় শনিবার ভরাডুবির ময়নাতদন্তে কালীঘাটে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল নেত্রী। ওই বৈঠকে থাকবেন দলের জেলা সভাপতি, শীর্ষ নেতা, জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, জেলা নেতৃত্বকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলার পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকেও জবাবদিহি চাওয়া হবে বলে খবর। 



শুক্রবার দলবিরোধী কাজের অভিযোগে মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়কে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, শনিবার কালীঘাটের বৈঠকে আরও কয়েকজনের উপরে পড়তে পারে কোপ। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কয়েকজন নেতার দায়িত্বভারও লাঘব করা হতে পারে। 


রাজ্যে মেরুকরণের জেরে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের। একইসঙ্গে এটাও স্পষ্ট, বাম ভোটের কিয়দংশই চলে গিয়েছে বিজেপিতে। বাম ভোটে বলীয়ান হয়েই শক্তি বাড়িয়েছে রাম। ভোট ভাগাভাগির লাভ পায়নি তৃণমূল। সম্ভবত তৃণমূল নেতৃত্বও এমন সুস্পষ্ট রাজনৈতিক মেরুকরণের ইঙ্গিত পাননি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাম-কংগ্রেসের বাকি ভোটও চলে যাবে বিজেপির খাতায়। ঠিক ত্রিপুরায় গত বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেসের ভোট ঠেকেছিল তলানিতে। মেরুকরণ রোখা ও বাম ভোটকে তৃণমূলে আনার জন্য কৌশল রচনা করা এখন আশু প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে রণনীতি তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরইসঙ্গে জেলার নেতাদের কাছে স্থানীয় ইস্যুগুলি নিয়েও হবে আলোচনা। 


আরও পড়ুন- বাংলায় সাফল্যের পর মমতাকে 'জয় শ্রী রাম' কুর্তি উপহার পাঠালেন বিজেপি নেতা