নিজস্ব প্রতিবেদন: আবারও বাংলায় সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। পঞ্চম দফা ও ষষ্ঠ দফার আগে আরও চারটি সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বিজেপি সূত্রের খবর, ভোট শেষ হওয়ার আগে রাজ্যে সবমিলিয়ে ১৪-১৫টি সভা করার কথা মোদীর।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ মে ঝাড়গ্রাম, তমলুকে সভা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় জনসভা ৯ মে। এনিয়ে ১৩টি জনসভা করবেন মোদী। সপ্তম দফার আগে আরও দুটি সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী।  



বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা জানিয়েছিলেন, রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীর ১০টি সভা করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী আগ্রহ দেখানোয় ১৬টি সভা করা হবে। 


রাজ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। অতীতে বাংলায় কোনও প্রধানমন্ত্রীর এতগুলি সভা করার রেকর্ড নেই। তৃণমূল সমর্থকরা ইতিমধ্যেই ফেসবুকে বলাবলি করছেন, প্রধানমন্ত্রীকে 'ডেইলি প্যাসেঞ্জার' বানিয়ে দিয়েছেন মমতা। এটাই তৃণমূল নেত্রীর ক্ষমতা। বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, নরেন্দ্র মোদীর প্রতিটি সভাতেই রেকর্ড ভিড় হচ্ছে। তাঁকে দেখেই আসমুদ্রহিমাচল ভোট দেবে। এর আগে এমন 'ক্রাউডপুলার' প্রধানমন্ত্রী কেউ ছিলেন না, সে কারণেই বাংলায় আসেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বাংলার মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। উনিই বিজেপির প্রচারমুখ।             


সোমবার শ্রীরামপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ৪০জন তৃণমূল বিধায়কের। দিদির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। মোদী বলেন,''আমাকে গালাগালি করা ছাড়া দিদির আরও কিছু করার নেই। দিদি যতই গালি দিন, বাংলার মানুষ ঠিক করে ফেলেছেন ২৩শে মে 'আরও একবার বিজেপি সরকার''। মঙ্গলবার ভদ্রেশ্বরের সভা থেকে তার পাল্টা জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর কথায়,''আগে দিল্লি সামলান। পরে বাংলায় এমএলএ পরে কিনতে আসবেন। সবটা কিনে নিলেও বাংলার সরকার ভাঙছে না। বাংলায় বিজেপির মতো শক্তিকে মানুষ আসতে দেবে না। এরা দাঙ্গাকারী, সন্ত্রাসী শক্তি। এরা মানুষকে এক রাখতে পারে না। এরা মানুষকে ভালবাসতে পারে না''।     


আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় ফনির মোকাবিলায় আগাম অর্থ মঞ্জুর কেন্দ্রের, চিঠি নবান্নে, নজর সেনার