কোনদিক থেকে আসে রমিতের মৃত্যুবাণ? `দুয়ে দুয়ে চার` মিলেও মিলছে না!
টাইলসের টুকরোর আঘাতেই রমিতের মৃত্যু। নিশ্চিত পুলিস। উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা টাইলস। কিন্তু, কোনদিক দিয়ে এসেছিল মৃত্যুবাণ? তদন্তের বিষয় এখন সেটাই।
ওয়েব ডেস্ক : টাইলসের টুকরোর আঘাতেই রমিতের মৃত্যু। নিশ্চিত পুলিস। উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা টাইলস। কিন্তু, কোনদিক দিয়ে এসেছিল মৃত্যুবাণ? তদন্তের বিষয় এখন সেটাই।
৫এ, আর্ল স্ট্রিট। ঘটনাস্থল ম্যাডক্স স্কোয়্যার। ৩৫ মিটার ধাওয়া করে এসে হামলা চালানো হয়। কিন্তু কোনপথে এল মৃত্যুবাণ?দুয়ে দুয়ে চার হয়েও হচ্ছে না। বাদ সাধছে পদার্থবিজ্ঞান। পাথরের গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে রমিতকে প্রাণঘাতী আঘাত করতে হলে তার তীব্র ভরবেগ প্রয়োজন। কিন্তু পলি ফাইবার এর পরত দেওয়া কাচ ভাঙার পর পাথরের ভরবেগ এমনিতেই অনেক কমে যাওয়ার কথা। তারপর রমিতকে প্রাণঘাতী আঘাত করার মতো ভরবেগ ওই পাথরে অবশিষ্ট থাকার কথা নয়।
এদিকে গ্রেফতার রণদীপ ওরফে বিশাল জেরায় টাইলস ছোড়ার কথা স্বীকার করছে। কিন্তু, কখন ঘটল এই ঘটনা? তার আবার কোনও সিসিটিভি ফুটেজ নেই। হামলার ছবি কেন ধরা পড়ল না সিসিটিভিতে? আপাতত এই ছিন্নসূত্রই জোড়া লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
রমিত হত্যায় জড়িত মোট ছজন। গ্রেফতার হয়েছে চার জন। কী হয়েছিল ১৭ জুন? পুলিস জানাচ্ছে, সেদিন রাতে তিন বন্ধুর সঙ্গে জয় রাইডে ম্যাডস্ক স্কোয়ারে যান রমিত। একটি দোকান থেকে বিরিয়ানি কিনে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন তাঁরা। এই সময় দুটি বাইক ও একটি স্কুটি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অভিযুক্তরা। অভিযুক্তরা বহিরাগতদের চ্যালেঞ্জ করে। ইতিমধ্যে রণদীপ সরকার ওরফে বিশাল ফোন করেন থানায়। পুলিস পৌছনোর আগেই শুরু হয় হাতাহাতি ও মারামারি।
কিন্তু হত্যার মোটিভ কী? অভিযোগ, তোলাবাজির। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এলাকায় গাড়ি পার্ক করায় রমিত ও তাঁর বন্ধুদের কাছে টাকা দাবি করে অভিযুক্তেরা। ভয় দেখাতে স্থানীয় থানায় ফোনও করা হয়। কিন্তু, তারপরেও রমিতরা টাকা না দিলে শুরু হয় হাতাহাতি। পুলিস জানাচ্ছে ছয় অভিযুক্তই স্থানীয় বস্তিতে থাকে। তাদের অনেকেরই অপরাধের অতীত রয়েছে। স্থানীয় নির্মাণ ব্যবসায় ইমারতি দ্রব্য সরবরাহে যুক্ত তারা। এছাড়া এলাকায় পার্ক হওয়া গাড়ি থেকে টাকা তুলেও মোটা রোজগার।