Mahua Moitra: বিতর্কে `ব্রাত্য` নন, একেবারে জেলা সভাপতি! মহুয়ার `ওজন` বাড়াল তৃণমূল
`টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন` বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাবের পক্ষে পড়েছে ৬টি ভোট। আর বিপক্ষে ৪টি ভোট।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' বিতর্কে মহুয়া মৈত্র। আর এই বিতর্কে দলে ব্রাত্য নন মহুয়া মৈত্র। বরং দলে তাঁর 'ওজন' বাড়ল! নদিয়া- কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল মহুয়া মৈত্রকে। কল্লোল খানকে সরিয়ে তৃণমূলের নদিয়া-কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। ওদিকে নদিয়া জেলার চেয়ারপারসন হলেন রুকবানুর রহমান। এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তৃণমূল দলের তরফে। সেই বিজ্ঞপ্তিতেই একাধিক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান ও সভাপতি বদলের ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতেই দেখা যাচ্ছে যে, বাম-বিজেপির প্রচার উড়িয়ে মহুয়ার পাশেই আছে দল।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে মহুয়া বিতর্কে মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অভিষেক বলেন, "এথিকস কমিটিতে বহু মামলাই পড়ে রয়েছে। এক দেড় মাস আগে যখন নয়া সংসদভাবনে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয় তখন সেই অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুড়ি অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। সংসদের গরিমা নষ্ট করেছিলেন। এরকম বিজেপির বহু সাংসদ রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও শুনানি হয়নি। কেউ যদি সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানিদের অনিয়ম নিয়ে জানতে চায় তাহলে কীভাবে তার সাংসদ পদ খারিজ করতে চাওয়া হয় তা এখন দেখা যাচ্ছে। এথিকস কমিটির সুপারিশের নথির যে অংশ আমার কাছে এসেছে তাতে এথিকস কমিটির চেয়ারম্যান লিখেছেন, এঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমার প্রশ্ন, যদি মহুয়ার বিরুদ্ধে কিছু না থাকে তাহলে আপনি কীভাবে সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করতে পারেন? আমার মনে হয়, নিজের লড়াই নিজেই লড়ে নেওয়ার ক্ষমতা মহুয়া মৈত্রের রয়েছে। আমাকেও গত চার বছর ধরে ডেকে পাঠানো হচ্ছে, বিভিন্ন মামলায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা এদের কাজের পদ্ধতি। এসব প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।"
পাশে থাকার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত মিলেছিল অভিষেকের বক্তব্যেই। এবার সেই 'পাশে থাকা'তেই আনুষ্ঠানিক শিলমোহর পড়ল। মহুয়াও যেমন দুদিন আগে টুইট করে দাবি করেছেন, এই বিতর্কের ফলে তাঁকে যতই ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হোক না কেনও, ফের কৃষ্ণনগর থেকে ভোটে দাঁড়ালে, তিনি দ্বিগুন মার্জিনে জিতবেন। উল্লেখ্য, 'টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন' বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাবের পক্ষে পড়েছে ৬টি ভোট। আর বিপক্ষে ৪টি ভোট। এথিক্স কমিটির মতে,'এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত ভারত সরকারের'। জমা পড়েছে পাঁচশো পাতার রিপোর্ট। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ? লোকসভার পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগ-ইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ, 'সেই লগ-ইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগ-ইন করা হয়।' কমিটির মতে, 'এটা স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা'।
২০১৯-র লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে জোড়া ফুল প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হন মহুয়া মৈত্র। সংসদে ক্ষুরধার রাজনীতিক হিসেবেই পরিচিত মহুয়া মৈত্র। তাঁর চাঁছাছোলা প্রশ্ন একদিকে যেমন বিভিন্ন সময়ে তাঁকে খবরের শিরোনামে এনেছে, তেমনই বিভিন্ন সময় তাঁর বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে বিতর্কেও জড়িয়েছেন প্রাক্তন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার। এবারও যেমন এথিক্স কমিটিতে হাজিরার দিন মেজাজ হারিয়ে ওয়াক-আউট করতে দেখা গিয়েছিল মহুয়াকে। তাঁর 'মৌখিক বস্ত্রহরণ' করা হয়েছে বলেও তোপ দেগেছিলেন মহুয়া।
আরও পড়ুন, Mahua Moitra: এথিক্স কমিটিতে মৌখিক ‘বস্ত্রহরণ’, লোকসভার স্পিকারকে লেখা চিঠিতে বিস্ফোরক মহুয়া
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)