দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: সংসদের কড়া নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে গ্য়ালারিতে লাফিয়ে পড়ল দুই যুবক। তারা আবার জুতোর মধ্যে থেকে ধোঁয়া তৈরির করার মতো জিনিসপত্র বের করে তোলপাড় করল। এর পেছনে দায় কার? এনিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। কিন্তু সবথেকে বড় কথা হল দেশের এতবড় একটা জায়গায় নিরাপত্তার গলদ। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মহুয়া হলে বিজেপি-র প্রতাপ কেন নয়? বহিষ্কার প্রশ্নে সংসদে সরব তৃণমূল


শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, খুব স্পষ্টভাবে বললে, সংসদের নিরাপত্তার গাফিলতির কথা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তারা কলকাতার না নয়ডার তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। আসল বিষয় হল নিরাপত্তার গাফিলতি। বিজেপি সাংসদের পাস নিয়ে ওরা ঢুকেছিল। যদি এরা উগ্রপন্থী হয়, তাহলে ওদের পাস দিলেন কেন? বিজেপির ট্রোলিং পার্টির কাজ হল শুধু কোথায় থাকেন তারা তার যোগসূত্র খোঁজা। আসলে নিরাপত্তার গাফিলতি সামনে চলে এসেছে। বিজেপি সাংসদ কেন ঢুকতে দিলেন সেটা আসল প্রশ্ন। যে সাংসদ ঢুকিয়েছে তাকে বহিষ্কার করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। প্রধানমন্ত্রী সাংসদে এসে বিবৃতি দিন।


এদিকে, সংসদে ওই হামলা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।  প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,  'নাশকতার যোগ পাওয়া যাচ্ছে এই রাজ্যে। গ্যাংস্টার লুকিয়ে থাকে, তার ইনফরমেশন থাকে না। সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। এখানকার মানুষ তো ভগবানের ভরসায় বেঁচে আছেন!' বিজেপি নেতার ওই মন্তব্য নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন,  দিলীপ ঘোষের জানা উচিত, তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র দফতর যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, জঙ্গিদের যাতায়াতে ১৪ রাজ্যের নাম রয়েছে। সেখানে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য আছে। তাহলে বাকিদের ব্যাপারে চুপ কেন? সাংসদের রিপোর্ট পড়ুন। আর বাংলায় বাম আমলে ওইসব কার্যকলাপ চলত। এই সরকার সব বন্ধ করেছে।


উল্লেখ্য, সংসদে হামলবার সঙ্গে নাম জুড়েছে কলকাতার। হামলার অন্যতম চক্রী হিসেবে যাকে মেন করা হচ্ছে সেই ললিত ঝা একসময় থাকতো কলতাকায়। তার সঙ্গে আবার উঠে আসছে আরও একজনের নাম। সেটি হল সায়ন পাল। 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা' নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সায়ন। নেতাজিকে নিয়ে কাজ করে ওই সংগঠন। গত জুলাইয়ে 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা'র হয়ে মিছিলেরও ডাক দেয় সায়ন। মিছিলের জন্য কলকাতা পুলিসকে জমা দেওয়া হয় আবেদন। পুলিসের দেওয়া সেই আবেদনপত্রে স্বাক্ষর ললিত ঝায়ের। আর সংগঠনের সদস্য হিসেবে নাম নীলাক্ষ আইচ ও সায়ন পালের।


তাই সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় সায়নের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যদিও সায়ন পাল দাবি করেছে যে, "ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। আমাদের গ্রুপের ৫০০ জন মেম্বার। কার মনে কী আছে সেটা তো বোঝা সম্ভব নয়।" নেতাজিকে নিয়ে কাজের সূত্রেই আলাপ বলেও জানিয়েছে সায়ন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)