বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজ, উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজের প্রায় একশো মিটার জায়গা ভেঙে পড়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দু'বছর পর খুলে দেওয়া হচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজ। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল চারটেয় সাধারণ মানুষের জন্য ব্রিজটির উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-'যা করেছেন ঠিক করেছেন', শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই সুর চড়ালেন জেলা সহ সভাপতি
ব্রিজের উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনীতি শুরু করেছিল বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিদ্যুত্ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মাঝেরহাট ব্রিজকে কেন্দ্র করে বিজেপি ভাঙচুর করেছিল। ওরা চাইছিল পুলিস গুলি চালাক। আর তারপর তা নিয়ে রাজনীতি করা যাবে। পুলিস অনেক ধৈর্য দেখিয়েছে। এনিয়ে কোনও রাজনীতি না করলেই ভালো হত। ওই ভাঙচুরের বিরুদ্ধে শনিবার একটি মিছিল বের করে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, অবিলম্বে ব্রিজটি খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার তারাতলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তারাতলা মোড়ের এক পাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। কিন্তু বিজয়বর্গীয় এসে উপস্থিত হওয়ার আগেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিস বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়ে যায় তারাতলায়। অভিযোগ, পুলিসের উপর ইট বৃষ্টি করতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তারপরই পুলিস পাল্টা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। পুলিসের লাঠির ঘায়ে বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন-মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই প্রথম সভা শুভেন্দুর, তার আগেই এলাকা ছয়লাপ শিবসেনার পতাকায়
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজের প্রায় একশো মিটার জায়গা ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের তলা ও উপর দিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল। মাঝখান থেকে ব্রিজটি দুমড়ে বসে যাওয়ায় আটকে পড়ে বহু গাড়ি, বাইক-সহ অন্যান্য যান। স্থানীয়রাই প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
ব্রিজটির যে অংশের তলা দিয়ে রেল লাইন গিয়েছে তা ঝুলন্ত। ব্রিজটির বৈশিষ্ট হল কোনও ভারী যান উঠলেও সংকেত আসবে কন্ট্রোল রুমে। মোট ৮৪টি কেবল ধরে রেখেছে গোটা ব্রিজটিকে। চার লেনের ব্রিজ এখন অনেকটাই চওড়া। তাই যানজটের সম্ভাবনা কম।