নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে তৈরি হবে প্ল্যান্ট। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ইন্টার্ন ডাক্তার ও নার্সদের  কাজে লাগানো হবে বলে জানালেন তিনি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বন্ধু নাম দিয়ে ব্যবহার করা হবে কোয়াক ডাক্তারদের।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এ দিন বলেন,''রাজ্যের ১০৫টি সরকারি হাসপাতালে বসছে অক্সিজেন প্ল্য়ান্ট। জেলা, মহকুমা, মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্ল্যান্ট বসানো হবে। তারা নিজেরাই করবে। জেলা মেডিক্যাল কলেজগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে করতে গেলে সময় লাগতে পারে। যাতে সময় নষ্ট না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত। বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করবে এই প্ল্যান্ট। ডায়মন্ড হারবার ও কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছে।'     


এর পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স ও প্যারা-মেডিক্যাল ইন্টার্নদেরও কাজে লাগানো হবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায়। মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata) জানান,''ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিক্যাল ইন্টার্ন ও স্নাতকোত্তর তৃতীয়বর্ষের পড়ুয়াদের কাজে লাগানো হবে। যেহেতু পরীক্ষা স্থগিত ফলে এই কাজের জন্য সুবিধা হবে তাঁদের। এতে ২ হাজার ডাক্তার ও নার্স বেশি পাব। ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোয়াক ডাক্তারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বন্ধু নাম দিয়ে আমরা কাজে লাগাব। জেলাগুলিও কাজে লাগাবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মী বললে ভালো হবে।''  


সমস্ত হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৪০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,''নার্সিংহোম ও হাসপাতালে ৪০ শতাংশ বেড বাড়ানো হবে কোভিড মোকাবিলায়। বেসরকারি হাসপাতালে এখনই ২০০০ শয্যা বাড়তে পারে। রাজ্যে ২০ হাজার বেড ছিল। তা বেড়ে হবে ৩০ হাজার। পাটশিল্পে একসঙ্গে ৩০ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন।''


আরও পড়ুন- ৭ তারিখ থেকে লাগু মেট্রোর নতুন সময়সূচি, বাতিল ৪৬টি মেট্রো