নিজস্ব প্রতিবেদন: চাপে পড়ে সুর নরম করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে শুক্রবার নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মমতা। তাঁর বার্তা নিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে পৌঁছন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। তবে সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। জুনিয়র ডাক্তাররা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ডাক ফিরিয়ে দিয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের জেরে ভেঙে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। অচলাবস্থা কাটাতে সন্ধেয় সুকুমার মুখোপাধ্যায়, এম এল সাহা, অলকেন্দু ঘোষ, অভিজিত্ চৌধুরির মতো বিশিষ্ট চিকিত্সকদের নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে মমতাকে এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন সিনিয়ররা। ওই পরামর্শের পর এনআরএসের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রস্তাব নিয়ে এনআরএসে পৌঁছন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীকেই এনআরএসে পড়ুয়াদের কাছে আসতে হবে। তাঁরা নবান্নে যাবেন না। 


এদিনই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মমতা যাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। রাজ্যপাল বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সাড়া পাইনি। তিনি আসলে কথা হবে''। 



এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে মারধর করে রোগীর পরিজনরা। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। কিন্তু গতকাল এনআরএসে না গিয়ে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, চার ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি জুনিয়র ডাক্তারদের বহিরাগত বলেও তকমা দেন। এতেই ঘৃতাহুতি পড়ে বলে মনে করছেন চিকিত্সকদের একাংশ। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী চিকিত্সকদের দোষী ঠাউরে দিয়েছেন।                     


এদিন চিকিত্সকদের তরফে ছ’দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। সেগুলি হল, “মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা পদবী দেখে চিকিত্সা করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর আলোচনা। মুখ্যমন্ত্রী না এলে আন্দোলন উঠবে না। আহত পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যেতে হবে।” চিকিত্সকদের তরফে এই দাবি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকরা গণইস্তফা দিচ্ছেন।


আরও পড়ুন- দার্জিলিঙের স্থায়ী সমাধান চাই, বাংলা ভেঙে গোর্খাল্যান্ড চাইলেন মুকুল?