নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে অমিত শাহের সাংগঠনিক কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ঠিক তার আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির সঙ্গে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন তাঁদের দাবিদাওয়ার কথা। দিলেন আশ্বাসও। লক্ষ্যণীয় বুধবার নবান্ন সভাঘরে মমতা মনে করিয়ে দিলেন, মতুয়াদের কাছে প্রথমে তিনিই পৌঁছেছিলেন। ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্ক।           


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন মমতা বলেন,''আমি মতুয়াদের বলব, এখন যাঁরা উড়ে এসে জুড়ে বসছেন, তাঁরা জানেন না বড়মা যতদিন বেঁচেছিলেন প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে বড়মার দেখাশোনা, চিকিৎসা সবটাই আমি করতাম। তারপর মমতাবালা ঠাকুরদের চিনি। মতুয়াদের বাড়িতে প্রথম আমিই গিয়েছিলাম। ঠাকুরবাড়ির ওখানে রেলস্টেশন করেছি। এলাকার উন্নয়ন করেছি। প্রমথনাথ ঠাকুরের নামে কলেজ আমি আসার পরেই হয়েছে।'' মতুয়াদের জন্য নমঃশূদ্র উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন বলেও স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বাউড়ি, দুলে ও মাঝিদের জন্য দুটি উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের ঘোষণা করেন।  তাদের দেওয়া হবে ৫ কোটি টাকা। তফশিলি জাতি ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যে পাট্টা বিলিও করেন মমতা।     


বৃহস্পতিবার বাকুঁড়ায় যাবেন অমিত শাহ। সেখানে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন আদিবাসীর বাড়িতে। পরের দিন মতুয়া বাড়িতে খাবেন। বলে রাখি, গত লোকসভা ভোটে মতুয়া ভোট গিয়েছিল বিজেপির ইভিএমের। বনগাঁ আসন জিতেছিলেন বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুরনগর তো বটেই গোটা উত্তর ২৪ পরগনাতেই মতুয়া ভোট ফারাক গড়ে দিতে পারে আসন্ন বিধানসভা ভোটে। আবার জঙ্গলমহলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম আসনে জিতেছে বিজেপি। রাজ্য রাজনীতির গতিপ্রবাহে আদিবাসী এলাকাতেও প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির।    সেটা বোঝেন বলেই এ দিনের সভায় মতুয়া ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মন জেতায় চেষ্টার খামতি রাখলেন না মমতা। 


আরও পড়ুন- কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে বাইক কিনতে সহজে ঋণ, ঘোষণা মমতার