নিজস্ব প্রতিবেদন : 'ইউনাইটেড ইন্ডিয়া'র ডাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই মাঘের শীতে ব্রিগেডে জড় হয়েছেন জাতীয় রাজনীতির হেভিওয়েটরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই একজোট হয়েছেন ব্রিগেডের মঞ্চে। একটাই লক্ষ্য, 'পরিবর্তন।' দিল্লির মসনদ থেকে মোদী সরকারকে উত্খাত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা প্রত্যেক নেতার মুখে মুখে। আর এই পরিস্থিতিতে খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠে আসছে, একটাই প্রশ্ন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অবিজেপি জোট ক্ষমতা এলে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? উনিশের ব্রিগেডের মঞ্চ দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "কেউ এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কালেক্টিভ লিডারশিপ ইজ ইমপর্ট্যান্ট। মহা গাঁটবন্ধনে সবাই নেতা। আমরা সবাই প্রজা আমাদের গণতন্ত্রে। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। আমি তা নিয়ে ভাবিত নই। নির্বাচনের পর আমরা ঠিক করব, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিজেপি গেলে নিশ্চয়ই ভালো সরকার হবে। আমরা সবাই মিলে ঠিক করব কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী পাঁচ বছর ভালো সরকার হবে।"


মমতা বলেন, "মোদী সরকারের এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গিয়েছে। বাংলার মাটি স্বাধীনতা আন্দোলনের, নবজাগরেণর পথ দেখিয়েছে। যখন-ই কোনও বিপদ এসেছে, তখন-ই বাংলা পথ দেখিয়েছে।" ব্রিগেড মঞ্চ থেকে এদিন মোদী সরকারকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তোপ দাগেন, "ভারত সর্বস্বান্ত, বিজেপি দাঙ্গায় ব্যস্ত। ব্যাঙ্কে ধস, সিবিআই, আরবিআই-এ ধস। গণতন্ত্রে ধস, বিজেপি বশ।"


মমতা অভিযোগ করেন, "লুঠের টাকায় ভোট, লুঠছে সব নোট। একের পর এক কেলেঙ্কারি। কিন্তু চোরের মায়ের বড় গলা। আপনার সঙ্গে থাকলেই সব সঠিক, না হলেই বদমাশ।" এদিন ফের এনআরসি ইস্যুতেও সুর চড়ান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেন, নাগরিকত্ব সংশোধনীর নামে উত্তর-পূর্বে মানুষ নিধন চলছে।


'আচ্ছে দিন'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা এসেছিল মোদী সরকার। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সেই 'আচ্ছে দিন'কে একহাত নেন ব্রিগেড নেত্রী। বলেন, বছরে ২ কোটি চাকরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। যার পুরোটাই ভাঁওতাবাজি। ব্রিগেড মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্লোগান তোলেন,  "অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, এবার বিজেপিকে বাদ দিন। অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, দিল্লিতে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। বিহার, ইউপি, বাংলায় শূন্য পেতে দিন। দেশ এক রাখতে চাইলে বিজেপিকে বাদ দিন। কৃষক, শ্রমিক, যুবা সম্প্রদায়, মানুষকে আচ্ছে রাখতে বিজেপিকে বাদ দিন।"


আরও পড়ুন, চোরদের তাড়ানোর ডাক হার্দিকের, 'ঐক্যবদ্ধ ভারত' গড়ার ডাক জিগনেশের


এদিন বিজেপিকে রোখার জন্য আন্দোলনের দিক নির্দেশও করে দেন মমতা। তিনি বলেন, "আগামিদিনে বিজেপি যেখানে মিটিং করবে, সেখানেই পাল্টা মিটিং করবেন। বিজেপি কুত্সা রটালেই প্রতিবাদে পথে নামুন।" বিজেপি খালি 'গর্জন' নয় 'তর্জন' করে, কিন্তু 'অর্জন' করতে পারে না বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার, মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। বলেন, "ইন্দিরা গান্ধীর সময়ের জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর এই সুপার ইমার্জেন্সি। মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।"